ডিএমপি
সাবেক সমন্বয়ক রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪:০২

গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রিয়াদসহ গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এই চেক উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কলাবাগান থানায় নতুন করে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার পর আরও ৪০ লাখ টাকা দাবি করতে গিয়ে পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন, আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫), মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদাব (২১), মো. আমিনুল ইসলাম (১৩) ও ইব্রাহীম হোসেন (২৪)। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা। ঢাকার ধানমন্ডিতে বসবাস করতেন তিনি।
ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, রিয়াদ ও ইব্রাহীম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন। ইব্রাহীম ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক এবং অপর তিনজন ছিলেন সংগঠনের সদস্য। ধৃত আমিনুল ইসলাম এখনো স্কুলছাত্র।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই রিয়াদ ও তার সহযোগী অপু শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ‘সরকারি দলের দোসর’ বলে অভিহিত করে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তারা। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ১০ লাখ টাকা দিয়ে রক্ষা পান।
এরপর ১৯ ও ২৬ জুলাই ফের চাঁদা দাবি করতে গেলে পুলিশ পাঁচজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত অপু সেসময় পালিয়ে যান।
এ ঘটনার জেরে সংগঠনটির তিন সদস্যকে বহিষ্কার করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। একইসঙ্গে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত দেশের সব শাখা কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সংগঠন স্বেচ্ছায় নিজেদের কমিটি স্থগিত করল। যারা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এদিকে ঢাকার একটি আদালত চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জনের মধ্যে চারজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। তারা হলেন, আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব। ডিএমপি জানিয়েছে, তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।