
ঢাবি এলাকায় তিন দিক থেকে চাপা উত্তেজনা। ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় বিরাজ করছে চাপা রাজনৈতিক উত্তেজনা। তিনটি ভিন্নমুখী কর্মসূচিকে ঘিরে শাহবাগ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টায় শাহবাগ মোড়ে শুরু হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ। যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে রাজপথে স্লোগান ও মিছিল শুরু হয়।
একই সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শহীদ মিনারে আয়োজন করে ‘জুলাই ইশতেহার’ শীর্ষক একটি রাজনৈতিক সমাবেশ। অপরদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর চার দিনব্যাপী ‘জুলাই জাগরণ’ অনুষ্ঠান।
এ তিনটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ও সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রক্টোরিয়াল টিম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ক্যাম্পাসে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রক্টোরিয়াল টিম দায়িত্ব পালন করছে।
সকাল থেকেই টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে প্রক্টোরিয়াল টহল। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক থাকলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সতর্কতা ও মানসিক চাপ বিরাজ করছে। কেউ কেউ যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ বেছে নিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস বন্ধ থাকলেও আমরা ঠিকভাবে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতে পারছি না। তিনদিকে তিনটি কর্মসূচি চলছে। কিছুটা আতঙ্কে আছি।
নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর মনির হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে প্রতিটি স্পটে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না ঘটে, সে জন্য আমরা সজাগ। অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনএমএম/এমবি