Logo

জাতীয়

নতুন দল নিবন্ধন : প্রাথমিক পর্যায়ে বাদ পড়ছে ৬৫ আবেদন

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ২০:৪১

নতুন দল নিবন্ধন : প্রাথমিক পর্যায়ে বাদ পড়ছে ৬৫ আবেদন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৪৫টি দল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করে। বেশ কিছু দলের আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ঘাটতি থাকায় ১৫ দিন সময় দিয়ে তা জমা দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিল ইসি।

রোববার (৩ আগস্ট) ছিল ঘাটতি কাগজপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরমধ্যে ১৪৫টি দলের মধ্যে ৮০টি দল ঘাটতি কাগজপত্র জমা দিয়েছে। বাকি ৬৫টি দল নির্দিষ্ট সময়ে কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় তাদের আবেদন বাদ পড়তে যাচ্ছে। শর্ত পূরণের সময় শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন প্রত্যাশী দলগুলোকে আবেদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশকিছু দল আবেদন করলে ২২ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ায় সংস্থাটি। ওই সময় পর্যন্ত ১৪৫টি দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করে।

প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে কমিশন যদি দেখে, কোনো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদন সঠিকভাবে পূরণ করেনি অথবা শর্তপূরণ বা দলিলাদির ঘাটতি রয়ে গেছে, তাহলে সেই দলগুলোকে চিঠি দিয়ে তা জানায়। প্রয়োজনীয় দলিলাদি সরবরাহসহ অন্যান্য ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দিয়ে এ ক্ষেত্রে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। চিঠি পাওয়ার পর নিবন্ধন আবেদনকারী দল প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করলে কমিশন আইন অনুযায়ী নিবন্ধন আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করবে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন আবেদনকারী দল কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সেই দলকে নিবন্ধনের অযোগ্য বিবেচনা করে আবেদনের বাতিল করে দেবে।

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এই প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়ম কানুনগুলোই সাধারণত খেয়াল করা হয়।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলি সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।

বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।

  • এসআইবি/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর