পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার মানুষ নিহত

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৫৭

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনা। ছবি : বাংলাদেশের খবর
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ৩৪ হাজার ৮৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার ৩৮২ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ৫৯ হাজার ৫৯৭ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের দেওয়া এক পরিসংখ্যানে এসব তথ্য উঠে আসে। সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর এসব তথ্য তুলে ধরেন।
সংগঠনটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছরই সড়কে প্রাণহানি বাড়ছে। দেশের জন্য এটি এক অশনি সংকেত। এ দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অবকাঠামোগত পরিকল্পনার অভাব, আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও পরিবহন ব্যবস্থার সার্বিক দুর্বলতা। দেশের সড়ক পরিবহন খাতে কোনো শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, বরং পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিভিন্ন খাতে সংস্কার কমিশন গঠন করলেও সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কারে কোনো কমিশন গঠন করেনি।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ মো. জাহাঙ্গীর বলেন, বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থায় বহুস্তরে নৈরাজ্যের মধ্যে রয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব, অপরিকল্পিত নগরায়ন, দুর্বল অবকাঠামো, সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব ও জবাবদিহিতাহীনতার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সব সময়ই বেশি থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চালকদের অবহেলা ও অদক্ষতা, দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানোর চাপ, সড়কে গতিরোধকহীন দীর্ঘ অংশ, যান্ত্রিক ত্রুটি, পথচারীদের অসচেতনতা এবং আইন অমান্য করার প্রবণতা। এসব মিলিয়ে প্রতিদিনই মানুষ সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে। কিংবা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কারের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করেছি। এতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি তিন ধাপে করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কারে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তিনটি রূপরেখা প্রস্তাবের কথা জানিয়ে মো. জাহাঙ্গীর বলেন, স্বল্পমেয়াদে আমরা জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলকে পুনর্গঠন, পরিবহন খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত দক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে কঠোরতা, যানবাহনের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ, দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন চূড়ান্তকরণ ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি।
এসআইবি/এমবি