ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম আর নেই, বুধবার শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩৩
-689b50ce041db.jpg)
ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহফুজা খানম আর নেই। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্বামী, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সহযোগী আইনজীবী সিফাত মাহমুদ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বাদ আসর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাস মসজিদে, যা তার ইন্দিরা রোডের বাসভবনের পাশে অবস্থিত। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, যাতে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। সেখানেই দেওয়া হবে গার্ড অব অনার। পরে দুপুর ১২টায় ডাকসু ভবন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৪৬ সালের ১৪ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা মাহফুজা খানমের শৈশব ও শিক্ষাজীবনের শুরু হয় বাংলাবাজার গার্লস স্কুলে। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন পথিকৃৎ। ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। একই সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও ১৯৬৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাকে পাসপোর্ট দেয়নি।
পেশাগত জীবনে তিনি দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। সবশেষ মাউশির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এবং খেলাঘর আসরের চেয়ারপারসনের দায়িত্বও পালন করেছেন।
শিক্ষা ও সমাজে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়া নারী শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য ২০১২ সালে বেগম রোকেয়া পদক, ২০১৩ সালে ‘অনন্যা শীর্ষ দশ’ পুরস্কার অর্জন করেন।
মাহফুজা খানম মৃত্যুকালে স্বামী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। বড় ছেলে ও মেয়ে চিকিৎসক, ছোট ছেলে মাহবুব শফিক পেশায় আইনজীবী।
এমএইচএস