এবার উপদেষ্টা আসিফের প্রেস সেক্রেটারির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজির অভিযোগ, অডিও ফাঁস

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৬:০৫
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রেস সেক্রেটারির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ফাঁস করেছেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর।
ফাঁস হওয়া অডিওতে তাকে টেন্ডারের কমিশন নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথন করতে শোনা গেছে। জাওয়াদ নির্ঝরের দাবি, কথোপকথনটি অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রেস সেক্রেটারি মাহফুজ আলমের।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে সাংবাদিক জাওয়াদ অডিওটি তার ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন। পরে খুব দ্রুত এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জাওয়াদ ফেসবুকে বলেন, ‘মাহফুজ আলমের (আসিফ মাহমুদের প্রেস সেক্রেটারি) সিডিআর মানে কললিস্ট নিয়ে কাজ করছিলাম। সে দুবাইয়ে রিয়েল স্টেট এবং বিনিয়োগ কোম্পানিতে ফোন দেয়। আগেও তার ধান্দাবাজির অন্য অডিও ফাঁস হয়েছে।’
ফাঁস হওয়া অডিওতে মাহফুজ আলমকে এক ব্যক্তির সঙ্গে টেন্ডার প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। কথার এক পর্যায়ে ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি তিন শতাংশ কমিশন দেওয়ার কথা বলেন। তখন মাহফুজ আলম বলেন, ‘কাজ কনফার্ম করে দিলে তিন শতাংশ, এটা হলো। এখন কিছু কাজ চলতেছে, যেগুলো আমি সিক্স পার্সেন্টে করেছি আপনি খোঁজ নেন। ওয়ান পার্সেন্ট মিডিলম্যান এবং ফাইভ পার্সেন্ট মিনিস্ট্রির জন্য। এগুলো ফিক্সড থাকে।’
কথোপকথনের সময় কাজের প্রসেস ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমি যেটা করছি তা হলো অ্যাডভাইজর মহোদয় সাইন করবেন, ফিফটি পার্সেন্ট দিয়ে দিবে; সিসিজিবি পাস হবে, বাকি ফিফটি পার্সেন্ট দিয়ে দিবে। আপনি ওদেরকে বলেন এখন সবগুলো হচ্ছে এই ফরমেটে।’
অডিওতে মাহফুজ আলম ফাইল আটকে রাখার হুমকিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ফাইল আটকে রাখব এখন। কমিটমেন্ট ঠিক না থাকলে তো দেখছেন। কথা দুইরকম হলে কিন্তু সমস্যা হয়। আমি আজকে ইজিপি করাব, করায়ে কিন্তু নোয়া (চুক্তিপত্র) ঝুলিয়ে রাখব। আপনি কনফার্মেশন দিবেন এরপরে নোয়া। আর দুইটা ১.৫, দুইটা ১ শতাংশ এগুলো কিন্তু হবে না; ১.৫ মানে ১.৫, দ্যাটস ইট।’
এই অডিও ফাঁস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, বিষয়টি সত্য হলে এটি প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। একজন মন্তব্যে লিখেছেন, ‘এটা যদি সত্যি হয়, তবে এটি শুধু ব্যক্তি মাহফুজের না, পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার দুর্নীতির প্রতিফলন।’
ডিআর/এএ/এক্সএ/এএইচকে