-Elections-Army-68ad61266a906.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণার সময়ও উপস্থিত থাকবেন সেনাসদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রধান প্রবেশপথে সেনাসদস্যরা অবস্থান করবেন। ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত কেন্দ্রগুলো কর্ডন করে রাখবে সেনাসদস্যরা। যাতে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে না পারে বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভোটের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে। এছাড়া নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকেই হলগুলোতে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না।
এদিকে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনী প্রচার চলবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে রাত ১১টা পর্যন্ত ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক পরিচয়ে প্রচার চালাতে পারবেন। তবে এ সময়ে সামাজিক, আর্থিক বা সেবামূলক সহযোগিতা ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যাবে না।
একইসঙ্গে মাজলিশ-মাহফিল আয়োজন কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার চালানোও নিষিদ্ধ। এসব কার্যক্রম ‘নির্বাচন আচরণ বিধিমালা’ ধারা-১৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
ছাত্রী হলগুলোতে প্রচারের সময়সূচি ভিন্ন। সেখানে প্রার্থীরা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন।
এদিকে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ডাকসু নির্বাচনের ভোটার ও প্রার্থী তালিকা থেকে দুইজনকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তারা হলেন অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী বায়েজিদ বোস্তামী।
ট্রাইব্যুনাল কমিটির সভায় এ সুপারিশ করা হয়। প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি সিন্ডিকেটে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিআর/এমবি