ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য অনুষ্ঠিত শুনানির চতুর্থ দিনে ১২টি জেলার ১৮টি সংসদীয় আসন নিয়ে মোট ২৬০টি শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। 

বুধবার (২৭ আগস্ট) হওয়া এ শুনানির মধ্যে আপত্তি (বিপক্ষে) ২৫৯টি এবং পরামর্শ (পক্ষে) ১টি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম।

গত ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই শুনানি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ইসির প্রকাশিত সংসদীয় এলাকা সংক্রান্ত শুনানি শেষ হলো।

শেষ দিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পঞ্চগড়-১, পঞ্চগড়-২, রংপুর-১, কুড়িগ্রাম-৪, সিরাজগঞ্জ-২, ৫, ৬, পাবনা-১ আসনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৬, জামালপুর-২, কিশোরগঞ্জ-১, সিলেট-১, ফরিদপুর-১, ৪, মাদারীপুর-২, ৩, শরীয়তপুর-২ ও ৩ আসনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

ইসিতে মোট ৮৩টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের জন্য ১,৭৬০টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে কুমিল্লা অঞ্চলে—৬৮৩টি, আর সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে রংপুর অঞ্চলে—৭টি। একক আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে কুমিল্লা-১ আসনে, ৩৬২টি। পিরোজপুর-১, ২, ৩ আসন থেকে আবেদন পড়েছে ২৮৭টি এবং সিরাজগঞ্জ-৫ ও সিরাজগঞ্জ-৬ থেকে ২২০টি। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে ঢাকা-১ আসন থেকে, ৭৯টি।

এর আগে ৩০ জুলাই সংসদীয় সীমানার খসড়া প্রকাশ করা হয়, যেখানে ৩০০টি আসনের মধ্যে ৪০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়েছে। ইসির সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তি জানাতে সময় দেয়া হয় ১০ আগস্ট পর্যন্ত।

এসআইবি/এএ