Logo

জাতীয়

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন ধরে রোডম্যাপ চূড়ান্ত

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৩১

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন ধরে রোডম্যাপ চূড়ান্ত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রোডম্যাপ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের ১২ তারিখ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে, রোডম্যাপ অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের ১৮ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হতে পারে। ভোট হতে পারে আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি। পরিকল্পনা অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ৫৭ দিনের মতো সময় পাবে ইসি।

রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন উপলক্ষে ২৪টি বিষয় ২০৭ ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। তার মধ্যে নির্বাচনি আইন-বিধি সংস্কার (আরপিও) আগামী ৩১ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য সময় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এটি ১১ ধাপে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার সম্ভাব্য সময় রাখা হয়েছে।

সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা কার্যক্রমও ৩১ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ১২ ধাপে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

সংসদীয় আসনের সীমানা-সংক্রান্ত বিষয় ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমাধান করা হবে। ৯ ধাপে দেশীয় ও বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও ব্রিফিংয়ে যোগদানের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে।

নির্বাচন আইন-বিধি একীভূতকরণের কাজ ৩১ অক্টোবর ও বিভিন্ন ধরনের ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা, পোস্টার, পরিচয়পত্র ১৫ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচনি প্রাথমিক মালামাল ১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত ও বিতরণ করা হবে।

ভোটগ্রহণের জন্য আগের সব স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ঢাকনাসহ লক পুনরায় পরীক্ষা করে ব্যবহারের উপযোগী করার কাজ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দেশ-বিদেশে পোস্টাল ব্যালটের ব্যয় নির্ধারণ, দুর্গম ও বিশেষ এলাকা চিহ্নিত করা হবে। ২০ নভেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করা হবে।

আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে খসড়া (সম্ভাব্য) ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত ও সংরক্ষণ করা, তফসিল ঘোষণার চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের তালিকা যাচাই করে ইসিতে পাঠানো এবং ভোটগ্রহণের ন্যূনতম ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করা হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের লক্ষ্যে বিভিন্ন অফিস-প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথম সভা হবে। তফসিল ঘোষণার আগে হবে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও। নির্বাচনসংক্রান্ত সব সফটওয়্যার ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তুত করে রাখা হবে এবং এআই কার্যক্রম নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।

রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচার শুরু হবে তফসিল ঘোষণার পর। এ প্রচার বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচার করা হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর জাতীয় সংসদের আসনভিত্তিক রিটার্নিং কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে একই প্ল্যাটফর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে ভোটার ও অংশীজনের উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইশতেহার ও ঘোষণাপত্র পাঠের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদানের জন্য ব্যালট পেপার প্রেরণ ও ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে ৫ জানুয়ারি। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ব্যালট দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। নির্বাচনের ৩০ দিন আগে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলেই প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন।

এসআইবি/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংসদ নির্বাচন নির্বাচন নির্বাচন কমিশন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর