নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে ইসি’তে মার্কিন দূত জ্যাকবসন

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৮

ছবি : বাংলাদেশের খবর
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে এসেছেন। আমি তাকে বলেছি স্বাভাবিক অবস্থায় নির্বাচনের এক ধরনের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু এখন একটা বিশেষ ব্যবস্থায় বিশেষ ধরনের সরকার। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্বাচন আয়োজনের চিঠি পাওয়ার পর থেকে আমাদের প্রস্তুতি আরও জোরদার করেছি।’
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এ বৈঠক মার্কিন দূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘আমি তাকে (জ্যাকবসন) জানিয়েছি আগে দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন আগে-পরে হওয়া নিয়ে মতবিরোধের কারণে নির্বাচনের সময় ঠিক করতে সময় লেগেছে। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নেই এমন কথা বলে নির্বাচন পিছানোর সুযোগ নেই। আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে থাকব, যাতে সরকার যখন চাইবে তখনই নির্বাচন দিতে পারি সেই প্রস্তুতি আমরা নেবো। কোন ধরনের ব্লেইম নিতে রাজি না আমরা। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’
জ্যাকবসন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের বিষয়ে সিইসির ধারণা জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘দলগুলোর মধ্যে নানা মত থাকলে সবাই নির্বাচনের আগে দেশের স্বার্থে একটা যায়গায় আসবে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে করার কাজটি তিনিই শুরু করেছেন। আমি তাকে এ বিষয়গুলোও জানিয়েছি।’
‘নির্বাচনের সময় যদি কোন পার্টি ওপর মব সৃষ্টি হয় তাহলে কি হবে’? মার্কিন দূত জ্যাকবসনের এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন এখনও দেরি আছে। ৩০০ আসনে যখন নির্বাচন হবে মব তখন ভাগ হয়ে যাবে। মব যারা করে তারাও ভাগ হয়ে যাবে। তখন মব করার জন্য এত লোক এক সাথে পাওয়া যাবে না।’
চারদিকে গুজবের বিষয়ে মার্কিন দূত জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘দেশটা গুজবের দেশ এখানে গুজব এস্টাবলিশ করার জন্য ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। গুজব বেশি কানে নিতে নেই।’
এসআইবি/এএ