শ্রম অধিকার লঙ্ঘন : ৩ গার্মেন্টস মালিকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক রেড নোটিশের উদ্যোগ

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৬

ছবি : সংগৃহীত
শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করে বিদেশে অবস্থানের অভিযোগে দেশের ৩টি গার্মেন্টসের মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেগুলো হলো- টিএনজেড গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ এবং রোর ফ্যাশন লিমিটেড।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, ‘শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে মালিক পক্ষের গাফিলতি এবং দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনটি গার্মেন্টস মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্তরা হলেন টিএনজেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন শামীম, ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ইত্তেমাদ উদ দৌলাহ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল উদ দৌলাহ এবং রোর ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনুল ইসলাম।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম আদালত, গাজীপুর এবং ঢাকা জেলার প্রথম ও তৃতীয় শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যারা শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চলমান মামলার মাধ্যমে অভিযুক্তদের দেশে ফিরিয়ে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান নিশ্চিত করা হবে।’
রেড নোটিশ জারির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি জানান, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পর পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ইনস্পেক্টর জেনারেল (এনসিবি) স্বাক্ষরিত চিঠি ইন্টারপোলকে প্রেরণ করেছে।’
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘কারখানার মালিকদের দ্বারা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার লঙ্ঘন সহ্য করা হবে না। যারা এই ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত হবে, তাদের অবশ্যই ফলাফল ভোগ করতে হবে। শ্রম উপদেষ্টার এই দৃঢ় পদক্ষেপের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, আর কিছু মালিক বিদেশে চলে গেছেন। খোলা কারখানাগুলোতেও শ্রমিকরা নিয়মিত বেতন-বোনাস পাচ্ছেন না। ফলে শ্রমিকরা প্রায়ই বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন।
এএ