প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ৭ দলের বৈঠকে যা আলোচনা হলো

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:০৯

ছবি : সংগৃহীত
দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে সাতটি রাজনৈতিক দল ও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা ধরে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দল ও সংগঠনগুলো হলো— আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে কথা বলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন আয়োজনে কোনোরূপ ভীতি বা চাপ ছাড়া পরামর্শ চেয়েছেন। নুরুল হক নুরের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে এবং আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ নোট অব ডিসেন্টের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নুরের সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো হবে। পাশাপাশি আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতের মধ্যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, ‘দেশে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা নির্বাচনী ধারায় দেশের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। ২৬টি দল পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতির পক্ষে রয়েছে এবং গণভোটের মাধ্যমে পিআর বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে এই সরকারের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘সরকারের কাজে দৃঢ়তা ও সমন্বয়ের অভাব এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কর্তৃত্বের ঘাটতিও নির্বাচনের বিষয়ে সংশয় সৃষ্টি করছে। তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত অভিজ্ঞদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন।’
এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয় এবং এলডিপি পিআর পদ্ধতির পক্ষে নেই।’
এএইচএস/এএ