নির্ধারিত সময়ের আগেই চূড়ান্ত হবে নতুন বেতন কাঠামো

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৮
-68c6ca201d2e3.jpg)
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই চূড়ান্ত হবে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতীয় বেতন কমিশনের বৈঠককালে এ তথ্য জানান কমিশনের চেয়ারম্যান, সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান।
তিনি জানান, গত এক দশকে মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি বাড়লেও সে অনুযায়ী বেতন সমন্বয় হয়নি। সময়োপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়নের পাশাপাশি কমিশন বিশেষায়িত চাকরির জন্য আলাদা কাঠামো, আয়কর পরিশোধের বিষয় বিবেচনায় বেতন নির্ধারণ, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা পুনর্মূল্যায়ন, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয়, সময়োপযোগী পেনশন ও অবসর-সুবিধা নির্ধারণে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, টেলিফোন, গাড়ি ও মোবাইল ফোন সংক্রান্ত আর্থিক সুবিধা, নগদ ও রেশন-সুবিধা যৌক্তিকীকরণ, বেতন গ্রেড ও ইনক্রিমেন্টে অসংগতি দূরীকরণে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছি। ছয় মাস সময় দেওয়া হলেও তার আগেই আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি যৌক্তিক বেতন কাঠামো নির্ধারণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘এটি এমন হতে হবে যাতে বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।’
তিনি কর্মকর্তাদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালুর ওপর জোর দেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেতন বাড়ালেও অনেক সময় একটি অসুখেই মানুষ সব হারিয়ে ফেলেন। ইন্স্যুরেন্স থাকলে পরিবার নিশ্চিন্তে থাকে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এ ধরনের মডেল চালু আছে।’
উল্লেখ্য, এক দশক পর নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।