বেসরকারি শিক্ষকদের বিক্ষোভে পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩২
-68c7f93f7e42b.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
জাতীয়করণের দাবিতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের তীব্র সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ জলকামান ছোড়ে, টানা সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ ও পানির তোড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ, তাদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে সরকার বরং আন্দোলনকে দমন করতে বেছে নিয়েছে শক্তি প্রয়োগ। পুলিশের বর্বরতায় অনেকে আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তারা।
সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় এক হাজার শিক্ষক। ‘বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে তারা অবস্থান নিয়ে জাতীয়করণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। কয়েক দফা ঠেলাঠেলি ও ধস্তাধস্তির পর পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আতঙ্কে চারপাশে দৌড়ে পালাতে দেখা যায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. নওশাদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে রাজপথে এসেছি। অথচ আমাদের ওপর জলকামান চালানো হলো। এটা শিক্ষকদের অপমান।’
সংগঠনের সমন্বয়ক মাহবুবা মালা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা অন্যের সন্তানকে শিক্ষা দিই, অথচ আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা নেই। জাতীয়করণ না হওয়ায় পরিবার চালানোই কষ্টকর। এখন আবার পুলিশি দমন-পীড়ন যোগ হলো।’
২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন সরকার সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে প্রায় ৫ হাজার বিদ্যালয় বাদ পড়ে। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে সরকারি চিঠি ইস্যু হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়, তবুও দাবি পূরণ হয়নি।
এনএমএম/এমএইচএস