দেশের বিমানবন্দরের একক নিয়ন্ত্রণে বেবিচক
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪৯
ছবি : বাংলাদেশের খবর
দেশের বিমানবন্দরে কার্যরত সকল সংস্থা ও এজেন্সির একক নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিমানবাহিনী এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৈঠকে গৃহীত ৬ দফা সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রধান দফা হলো—এখন থেকে দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে কার্যরত সংস্থা ও এজেন্সি বেবিচকের অধীনে পরিচালিত হবে। এর ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রমে সুসংহত কমান্ড, স্পষ্ট দায়িত্ববিভাজন ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হবে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, আইন অনুযায়ী সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করবে, তবে সার্বিক সমন্বয়, নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব বেবিচকের হাতে থাকবে। এতে প্রতিটি সংস্থার দায়িত্ব সীমারেখা স্পষ্ট হবে, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কেন্দ্রস্থল থাকবে বেবিচক।
গত বছরের ৫ আগস্ট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হঠাৎ ‘চেইন অব কমান্ড’ভেঙে পড়লে এপিবিএন সদস্যরা দায়িত্ব ছেড়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। সেই সময় বিষয়টি সারা দেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। নিরাপত্তা সামগ্রী এপ্রোনে ফেলে রেখে রানওয়ের পাশে অবস্থিত বিমানঘাঁটি একে খন্দকারে আশ্রয় নেন এপিবিএন সদস্যরা। ওই সময়ে বিমান বাহিনী সদস্যরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন এবং চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেন। এপিবিএনের অনুপস্থিতিতে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল ব্যাহত হলেও, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেবিচকের নির্দেশনায় বিমান বাহিনী ৬ ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরকে পুনরায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনে।
এছাড়া, চলতি বছরের ২৪ আগস্ট বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করেন এপিবিএন-১৩ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান। পরবর্তীতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে আইজিপিকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়।
এএ

