স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। শুধু ইসলাম ধর্মের পবিত্র ভূমি হিসেবেই নয়, বরং প্রায় ৩২ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীর দ্বিতীয় আবাসস্থল হিসেবে সৌদি আরব আমাদের অর্থনীতি ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে সৌদি আরবের ৯৫তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, সৌদি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির একটি প্রধান চালিকা শক্তি। এটি শুধু অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে না, দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সেতুবন্ধনকে আরও মজবুত করছে। বাংলাদেশী প্রবাসীদের কল্যাণে সৌদি আরবের অব্যাহত সহায়তাও এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতীক।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক শতাব্দী প্রাচীন। বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এ সম্পর্ক আধুনিক কূটনৈতিক বন্ধনের ভিত গড়ে তুলেছে। চলতি বছর আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বর্ষ উদযাপন হচ্ছে, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও ইসলামী ঐতিহ্যের প্রতিফলন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের ভিশন ২০৩০ শুধু সৌদি জনগণকেই অনুপ্রাণিত করছে না, গোটা অঞ্চলের উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও স্থিতিশীলতার জন্য এটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় ও আধুনিকীকরণে সৌদি আরবের সহযোগিতা প্রশংসনীয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধিতে তা বিশেষ অবদান রাখবে।

উপদেষ্টা ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রীকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বিশ্ব শান্তি রক্ষায় অসাধারণ রাষ্ট্রনায়কত্ব প্রদর্শনের জন্য প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সুসংহত করা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সৌদি আরবকে সম্মানজনক অবস্থানে তুলে ধরতে তাঁদের অবদান বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।

অনুষ্ঠানে সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফর এইচ. বিন আবিয়াহ, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক কোরের সদস্য, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।