Logo

জাতীয়

আকাশবাড়ি হলিডেজ বন্ধের আশঙ্কা, কোটি টাকার ‘সম্পদ চুরির’ অভিযোগ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৮

আকাশবাড়ি হলিডেজ বন্ধের আশঙ্কা, কোটি টাকার ‘সম্পদ চুরির’ অভিযোগ

জনপ্রিয় ট্রাভেল কোম্পানি আকাশবাড়ি হলিডেজ। ছবি : সংগৃহীত

জনপ্রিয় ট্রাভেল কোম্পানি আকাশবাড়ি হলিডেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) তৌহিদুল আলম মিল্কি অভিযোগ করেছেন, কোম্পানির পাঁচজন সাবেক কর্মী ‘বেইমানি ও অনৈতিক কার্যকলাপের’ মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছেন।

এমডির ভাষ্যমতে, অভিযোগে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন- ইমতিয়াজ, আবু বকর রাব্বি, তৌহিদুল ইসলাম মাসুম, তাজরীন আক্তার ও মোর্শেদ জুয়েল।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তৌহিদুল আলম মিল্কি এই প্রতিবেদককে বলেন, এরা দীর্ঘদিন ধরে আকাশবাড়ি হলিডেজে কর্মরত ছিলেন এবং প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা বেতন ও সুবিধা নিয়েছেন। এমনকি অনেকেরই কোটি টাকার গাড়ি রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে পর্যায়ক্রমে তারা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং অনৈতিক আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে কেউ কেউ এখনো আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র না পাওয়া সত্ত্বেও জাল ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছেন।

এমডির ভাষ্যমতে, উল্লিখিত পাঁচজন প্রায় ছয় মাস আগে ‘ট্রিপোলজি’ ও ‘ফাস্ট ট্রিপ’ নামে দুটি ট্রাভেল কোম্পানি গঠন করে ব্যবসা শুরু করেন।

তিনি দাবি করেছেন, আকাশবাড়ি হলিডেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি, গ্রাহক যোগাযোগের তথ্য, পাসপোর্টের কপি, ডাটাবেস ও হার্ডডিস্ক ব্যবহার করে অবৈধভাবে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা।

মিল্কি অভিযোগ করে বলেন, আমার অফিসে বসেই তারা আমার কাস্টমারদের প্রলুব্ধ করে নিজেদের কোম্পানিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ কারণে আমি প্রায় ১০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।

তার দাবি, কোম্পানির অন্তত ৩০ জন কর্মীকে প্রলোভন দেখিয়ে ওই নতুন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে যে, কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার ও নথিপত্র নষ্ট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রাভেল কোম্পানির মূল সম্পদ তার তথ্যভাণ্ডার ও ক্লায়েন্ট। আমার প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকার এই সম্পদ চুরি গেছে। দেশে আইনকানুন আছে। চাকরি করতে এসে কেউ কোম্পানির সম্পদ চুরি করে নিজে নতুন কোম্পানি খুলতে পারেন না।

মিল্কি বলেন, আমি সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগ দাখিল করেছি। উচ্চপর্যায়ে ঘুরছি। কিন্তু এখনো কোনো মামলা করতে পারিনি। কোম্পানিতে কোটি টাকার পেমেন্ট দেওয়ার সক্ষমতা হারাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে ১৯০ জন কর্মচারী ও তাদের পরিবারসহ মোট প্রায় ৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এইচকে/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ভ্রমণ অপরাধ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর