গণমাধ্যম নির্বাচন কমিশনের চোখ ও কান : সিইসি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:১৯

ছবি : বাংলাদেশের খবর
গণমাধ্যমকে নির্বাচন কমিশনের চোখ ও কান বলে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যমকে প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহযোগী হিসেবে দেখে। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম ছাড়া ইসির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সম্ভব নয়। আপনাদের আমরা পার্টনার হিসেবে চাই।’
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্পাদক ও বার্তা প্রধানদের সঙ্গে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংলাপে সিইসি এ কথা বলেন।
সংলাপে উপস্থিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ ও সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ রাখার অনুরোধ জানান। তাদের মতে, সাংবাদিকদের উপস্থিতি নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
সিইসি বলেন, ‘প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নেওয়ার বিধানটি কেবল আইনি আনুষ্ঠানিকতা। এটি যেন কেউ ভুলভাবে না নেয়। আইন মানতেই এটি রাখা হয়েছে, বাস্তবে গণমাধ্যমের উপস্থিতিকে আমরা স্বাগত জানাই।’
ডিবিসি নিউজের সম্পাদক লোটন একরাম বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার সীমিত করলে সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারণা দুর্বল হয়।’
একাত্তর টিভির সিইও শফিক আহমেদ বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসারদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং ভোটের দিনে সরাসরি সংবাদপ্রবাহ বাধাহীন রাখা জরুরি।’
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির মোস্তফা আকমল বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার ও গুজব নির্বাচনের বড় চ্যালেঞ্জ। ইসিকে দ্রুত ও সঠিক তথ্য প্রচারে সক্রিয় হতে হবে।’
চ্যানেল আই-এর জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, ‘এআই’র অপব্যবহারও বড় উদ্বেগের বিষয়। ইসিকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘অপতথ্য এখন বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা ইন্টারনেট সীমিত করব না, বরং সঠিক তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করব। জেলা পর্যায়ে তথ্য যাচাই সেল গঠন করা হবে।’
আরেক কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আরপিও ও আচরণবিধিতে সাইবার নিরাপত্তা ও এআই-এর অপব্যবহার রোধে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। সচেতনতা বাড়ানোই এখন মূল লক্ষ্য।’
সংলাপের শেষ পর্যায়ে সিইসি বলেন, ‘গণমাধ্যম আমাদের চোখ ও কান। নির্বাচন কমিশন আপনাদের শত্রু নয়, বরং অংশীদার। গণমাধ্যমের সহযোগিতায়ই আমরা একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে চাই।’
এসআইবি/এমএইচএস