Logo

জাতীয়

সেলিম আল দীনের পদক-পুরস্কার রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩৪

সেলিম আল দীনের পদক-পুরস্কার রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি

বাংলা নাটকের অগ্রপথিক নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের পদক, পুরস্কার, পাণ্ডুলিপি ও স্মৃতিস্মারক রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন দেশের ৫০ জন কবি, লেখক, অধ্যাপক, গবেষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী।

তাদের অভিযোগ, বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান এ নাট্যকারের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র ও স্মৃতিচিহ্ন অযত্নে ও অবহেলায় দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে একটি পরিবারের কাছে কুক্ষিগত হয়ে আছে। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতির গৌরব হিসেবে খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের স্মৃতিস্মারক রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা হয়ে থাকে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সেলিম আল দীন আমাদের নাট্যশিল্পের ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নাম। তার নাটক, গবেষণা ও শিল্পভাবনা কেবল নাট্যচর্চাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়নি, বরং আমাদের জাতিসত্তার শেকড়ের সঙ্গে শিল্প-সাহিত্যের যোগসূত্রকে আরও গভীর করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন একজন ব্যক্তিত্বের স্মৃতিস্মারক রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংরক্ষণ করা হয়েছে। যা তাদের জাতিগত ও রাষ্ট্রীয় গৌরবের চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত।

দুর্ভাগ্যজনক হলো সেলিম আল দীন এ ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার। তার সঙ্গে যারা দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন, তারাও এসব গুরুত্বপূর্ণ স্মারক অবহেলায় দীর্ঘ ১৭ বছর পড়ে থাকার দায় এড়াতে পারেন না।

আমরা মনে করি, এ মহান শিল্পীর জীবন ও কর্ম জাতীয় গৌরবের অংশ। তার পদক, পুরস্কার, পাণ্ডুলিপিসহ স্মৃতিস্মারক আমাদের অমূল্য সম্পদ। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেলিম আল দীনের যাবতীয় স্মৃতিস্মারক সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণা কাজের জন্য উন্মুক্ত করা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- কবি কাজল শাহনেওয়াজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রায়হান রাইন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব উল্লাস জাকারিয়া ও শুসমিন আফসানা, লেখক ও বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক, লেখক ও শিক্ষক ফাহমিদুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার, অভিনয়শিল্পী নওশাবা সিকদার মুক্তি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল ফজল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান কাজল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সংগীতজ্ঞ কৌশিক আহমেদ, কবি লেখক ও সংগঠক নাহিদ ইসলাম, লেখক ও গবেষক মীর হুযাইফা আল মামদূহ, কবি রহমান হেনরী, কথাসাহিত্যিক ও সংগঠক পাপড়ি রহমান, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী বাকী বিল্লাহ, লেখক ও অধিকার কর্মী ফেরদৌস আরা রুমী, সংস্কৃতিকর্মী জাহেদুল আলম হিটো, সংস্কৃতিকর্মী রঘু অভিজিৎ রায়, চলচ্চিত্র নির্মাতা রজত তন্ময় পাল, সংগীতশিল্পী ও নির্মাতা ইমামুল বাকের এপোলো, লেখক ও চলচ্চিত্র গবেষক ওয়াহিদ সুজন, কবি ও সংগঠক চিনু কবির, অভিনেতা সোহেল তৌফিক, সাংস্কৃতিক কর্মী আব্দুল মজিদ অন্তর, চলচ্চিত্র গবেষক হারুন অর রশিদ, লেখক জুবায়ের ইবনে কামাল, দৈনিক ফেনীর সময়ের সম্পাদক শাহাদত হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা অনার্য মুর্শিদ, গবেষক ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমিনুর রহমান, কবি জাহিদ জগৎ, কবি ও কথাসাহিত্যিক রাসেল রায়হান, কবি নকিব মুকশি, লেখক এনামূল হক পলাশ, কবি ও সংগঠক মাসুম মুনাওয়ার, কবি সুলতান আকন, কবি ও কথাসাহিত্যিক শাদমান শাহিদ, থিয়েটার কর্মী সামিউন জাহান দোলা, লেখক ও শিক্ষক শামীমা নাজনিন তনিমা, সর্বজনের সংস্কৃতির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান, কবি পলিয়ার ওয়াহিদ, কবি উপল বড়ুয়া, লেখক ও গবেষক রাহুল বিশ্বাস, কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী রহমান মুফিজ, মানবাধিকার কর্মী জাহিন জামাল, সংস্কৃতিকর্মী জাহিন ইবনে জামাল, কবি ও লেখক সাজ্জাদ বিপ্লব এবং কবি ও শিক্ষক রাকিব লিখন।

এইচকে/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

পুরস্কার

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর