Logo

জাতীয়

নারী প্রার্থীদের জন্য পৃথক আসন ও সহিংসতামুক্ত ভোটের দাবি নারী নেত্রীদের

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৫৪

নারী প্রার্থীদের জন্য পৃথক আসন ও সহিংসতামুক্ত ভোটের দাবি নারী নেত্রীদের

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয় সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে নারী প্রার্থীদের জন্য পৃথক আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে ও পরে নারী প্রার্থী ও ভোটারদের ওপর সহিংসতা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংলাপে এসব দাবি জানান নারী নেত্রীরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে অংশ নেন অন্যান্য কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ।

‘নিজেরা করি’-এর সমন্বয়কারী খুশী কবীর বলেন, ‘যে পদ্ধতিই হোক, নারীদের সরাসরি নির্বাচনের সুযোগ দিতে হবে। একই সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ যেন মুক্ত, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয়, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। মব ভায়োলেন্স বা গোষ্ঠীগত সহিংসতা নারীদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করে—এ বিষয়েও কমিশনকে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে।’

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফাওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘প্রার্থী বাছাইয়ের সময় নারী বিদ্বেষী, সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মনোভাব রয়েছে—এমন ব্যক্তিদের বাদ দিতে হবে। প্রার্থীদের মানবিক গুণাবলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ও পরে নারী নির্যাতন বেড়ে যায়। এমন এলাকাগুলোর দিকে ইসির বিশেষ নজর থাকা জরুরি। নির্বাচনকে জেন্ডার-ফ্রেন্ডলি করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।’

নারী অধিকারকর্মী শিরিন হক বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু সংসদে আসন বাড়েনি। আমরা প্রস্তাব করেছি—৩০০ নয়, ৬০০ আসন করা হোক। প্রতিটি এলাকায় দুটি আসন থাকবে—একটি শুধুমাত্র নারীদের জন্য, অন্যটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য উন্মুক্ত। এতে প্রতিনিধিত্ব ও ভারসাম্য দুটোই বজায় থাকবে।’

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনে নারী প্রার্থীরা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হন। তাদের বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষী প্রচারণা চালানো হয়। এবারের নির্বাচনে যেন এমন না হয়, সে বিষয়ে কমিশনের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা খুব বেশি।’

উইম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মিষ্টি আশরাফুন নাহার বলেন, ‘প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ ভোটারদের নিরাপত্তা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগে কমিশনকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।’

সংলাপে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, নারী প্রার্থী ও ভোটারের জন্য নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহিংসতামুক্ত পরিবেশ তৈরি করলেই আসন্ন নির্বাচন সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক হবে।

এসআইবি/এএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

নির্বাচন কমিশন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর