মেডিকেল ভর্তিতে যুক্ত হচ্ছে সৃজনশীলতা ও মানবিক গুণ যাচাই
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২৭
ছবি : সংগৃহীত
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এবার আসছে পরিবর্তন। শুধুমাত্র মুখস্তবিদ্যা নয়, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উপস্থিত বুদ্ধি ও মানবিক গুণাবলী যাচাইয়ের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ নিয়ে নতুন রূপরেখা তৈরিতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।
বর্তমানে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেওয়া পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলেই মেডিকেলে ভর্তি হওয়া যায়। তবে এতে মানবিক গুণ বা সৃজনশীল চিন্তাশক্তি মূল্যায়ন সম্ভব হয় না বলে মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাই এবার বুদ্ধিমত্তা ও মানবিক গুণাবলী যাচাইয়ে অতিরিক্ত ১০ নম্বর যুক্ত করার চিন্তা চলছে। এটি ওএমআর শিটেই মূল্যায়ন করা হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, নতুন পদ্ধতির লক্ষ্য হলো এমন শিক্ষার্থী নির্বাচন করা, যারা চিকিৎসক হয়ে দায়িত্ববোধ ও সহমর্মিতা নিয়ে রোগীর সেবা করবেন।
বর্তমান পদ্ধতিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান মিলিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। ভুল উত্তরে ০.২৫ নম্বর কাটা হয়। এবার এর সঙ্গে মানবিক গুণাবলী যাচাইয়ের জন্য নতুন ধাঁচের প্রশ্ন যুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক গুণ, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা যাচাইয়ের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করছে, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় কিছু ভিন্নতা আনা হচ্ছে। মানবিক গুণাবলী যাচাইয়ের জন্য কিছু প্রশ্ন সংযোজনের প্রস্তুতি চলছে।’
আগামী ১২ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। বর্তমানে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩৮০টি এবং বেসরকারি ৬৭টি কলেজে ৬ হাজার ২৯৩টি আসন রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ‘নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চিকিৎসকরা শুধু জ্ঞানসম্পন্নই নয়, বরং দায়িত্বশীল ও মানবিক চিকিৎসক হিসেবে গড়ে উঠবেন—এই প্রত্যাশায় এগোচ্ছে সরকার।’
এসআইবি/এএ

