আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ইসির বৈঠক আজ, আলোচনায় যেসব বিষয়

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৩

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার (২০ অক্টোবর) সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (১৯ অক্টোবর) ইসির উপসচিব মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা হিসেবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে এ সভায় নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থাকবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি, র্যাবের মহাপরিচালক এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ও সিআইডির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকরা। বৈঠকে ইসির নির্ধারিত ১২টি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হতে পারে।
ইসির নির্ধারিত ১২ চ্যালেঞ্জ :
১. ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
২. নির্বাচনি এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা।
৩. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা।
৪. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর কার্যক্রমে সমন্বয় ও সংহতকরণ।
৫. অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার রোধ ও নিয়ন্ত্রণ।
৬. বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা সহায়তা।
৭. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও কৃত্রিম প্রযুক্তিনির্ভর প্রচারণা রোধে কৌশল নির্ধারণ।
৮. পোস্টাল ভোট ব্যবস্থাপনা।
৯. নির্বাচনকালীন সময়ে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনা।
১০. অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ।
১১. অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
১২. পার্বত্য ও দুর্গম এলাকায় নির্বাচনি দ্রব্য পরিবহন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান এবং ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকে কেন্দ্র করে আলাদা সেল গঠনের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শের ভিত্তিতে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করবে কমিশন।
এসআইবি/এমবি