Logo

জাতীয়

বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১১

বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা

যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপনের জন্য সরকার বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্য সাময়িকী ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের পরপরই দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসহ বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঠিক বিধি-বিধান প্রচার করবে।

দিবসটি উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে। তবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের (১৪ ডিসেম্বর) রাতে কোনো আলোকসজ্জা থাকবে না। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলায় একত্রিশ বার তোপধ্বনি বাজানো হবে।

ভোর ৬টা ৩৪ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিদেশি কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা জানাবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।

একই দিন সকাল ৯টায় বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।

সকল জেলা ও উপজেলায় তিন দিনব্যাপী বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হবে। শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সভার আয়োজন করবে, যেখানে অংশ নেবেন বিদেশি অধ্যাপক, স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালসহ বিভিন্ন বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ সকাল ৯টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

এ ছাড়া স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি ও হাডুডু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। টেলিভিশন, বেতার ও বেসরকারি চ্যানেলগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

ঢাকাসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সিনেমা হলে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে উন্মুক্ত স্থানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

জাদুঘর, বিনোদনকেন্দ্র ও পর্যটন স্পটগুলো শিশুদের জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিনা টিকিটে খোলা থাকবে। পাশাপাশি এসব স্থানে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে।

দেশের হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, পথশিশু কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র ও শিশু পরিবারগুলোতে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে। রাজধানীসহ দেশের শহরগুলো জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন ও রঙিন নিশান দিয়ে সাজানো হবে।

ডাক অধিদপ্তর মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে।

শেষে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনায় সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

দিবস উদযাপন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর