গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধিমালায় যুক্ত করা হয়েছে সাতটি নতুন নির্দেশনা। এসব নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করার আগে প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলকে লিখিত পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং আইনসম্মত রাখতে এসব বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগাম প্রচার পরিকল্পনা জমা দেওয়ার মাধ্যমে যেমন প্রার্থীদের মধ্যে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা যাবে, তেমনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করবে প্রশাসন।
ইতোমধ্যে আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত হয়েছে এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। গেজেট প্রকাশের পর রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধিমালা জারি করা হবে।
জনসভা, পথসভা ও সমাবেশে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
১. সমান অধিকার : নির্বাচনি প্রচারণায় সব প্রার্থী সমান অধিকার ভোগ করবেন। কেউ কাউকে বাধা দিতে বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে পারবেন না।
২. প্রচার পরিকল্পনা : প্রচারণা শুরু করার আগে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে কর্তৃপক্ষের কাছে পরিকল্পনা জমা দিতে হবে এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩. লিখিত অনুমতি : জনসভা বা সমাবেশ আয়োজনের আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে এবং তা স্থানীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।
৪. পুলিশকে অবহিতকরণ : জনসভা বা পথসভা আয়োজনের কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে স্থান ও সময় জানাতে হবে।
৫. চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানো : জনসভা বা সমাবেশ এমন স্থানে করা যাবে না যেখানে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যেমন সড়ক বা মহাসড়ক।
৬. গোলযোগ রোধে ব্যবস্থা : কোনো ব্যক্তি বা দল যদি গোলযোগ সৃষ্টি করে, আয়োজকদের পুলিশকে জানাতে হবে এবং পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
৭. বিদেশে প্রচারণা নিষিদ্ধ : কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বিদেশে জনসভা বা প্রচার চালাতে পারবে না।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এসব নতুন বিধান কার্যকর হলে প্রচার কার্যক্রম হবে অধিকতর সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায্য।
- এসআইবি/এমআই

