নির্বাচনের সময় মোতায়েন হবে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৭
ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনকালীন সময়ে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা মোতায়েন থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সেনাবাহিনীর ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ কার্যক্রমের আওতায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী ৮১ শতাংশ লুট হওয়া অস্ত্র এবং ৭৩ শতাংশ গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে, পাশাপাশি ১৯ হাজার অপরাধীকে আইনের আওতায় এনেছে। জনগণও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসলে দেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে এবং সেনাবাহিনী তাদের ব্যারাকে ফিরে যাবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ মাসে দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। সীমিত লোকবল থাকা সত্ত্বেও ফেনী-নোয়াখালীর বন্যাসহ নানা সংকটে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করেছে, যা তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব নয়। সেনাবাহিনী না থাকলে কী হতো তা কল্পনা করা যায় না।’
তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকামুখী অস্ত্রের চালান ধরা সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সফলতা। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের চাকরিচ্যুতির বিষয় সরকার সঙ্গে আলোচনা চলছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান বলেন, ‘সেনাবাহিনী সব সময় তার শীর্ষ নেতৃত্বের অনুগত। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সেনাবাহিনীর ইমেজ ক্ষুণ্ণ করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যবোধ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।’
তিনি আরও জানান, সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যে রূপরেখা প্রণয়ন করেছে তার ওপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনী যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচনের সময় কী করণীয়, সেই বিষয়কে ফোকাস করে সীমিত আকারে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।
সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, জনগণ ও সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে এবং সেনাবাহিনী তাদের ব্যারাকে ফিরে যাবে।

