Logo

জাতীয়

নির্বাচনে সাংবাদিকদের আচরণবিধি সংশোধনের দাবি বিজেসির

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৫৪

নির্বাচনে সাংবাদিকদের আচরণবিধি সংশোধনের দাবি বিজেসির

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নির্বাচন কাভার করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য প্রণীত আচরণবিধিতে বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। এসব বিষয়ে সংশোধন আনতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত সুপারিশপত্র দিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (৯ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এর সঙ্গে এক বৈঠকে বিজেসি চেয়ারম্যান রেজায়োনুল হক রাজা ও সংগঠনের অন্যান্য প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে তারা সাংবাদিকদের কাজের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে এমন কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব দেন।

বৈঠক শেষে রেজায়োনুল হক রাজা বলেন, ‘নির্বাচন কাভার করার জন্য ইসি যে আচরণবিধি তৈরি করেছে, তাতে সাংবাদিকদের কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। আমরা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ও আরএফইডি যৌথভাবে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, অংশীজন ও সংবাদকর্মীদের মতামত নিয়ে একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছি এবং তা কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি।’

তিনি জানান, বৈঠকে ইসির সিনিয়র সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাংবাদিকদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিজেসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতা সাংবাদিকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা। আইডি কার্ড ইস্যু করা থাকলে আলাদা করে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

এছাড়া ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট থাকার সীমা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে সংগঠনটি। 

রেজায়োনুল হক রাজা বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো কঠোর সময়সীমা নয়, বরং কেন্দ্রের জায়গার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় সাধারণ নির্দেশনা মাত্র। সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এটি নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত যে কমিশন আন্তরিকভাবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে চায়। এমনকি কমিশন মনে করে, সিসি ক্যামেরা না থাকলেও সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।’

সরাসরি সম্প্রচার নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। রাজা বলেন, ‘সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল থাকতে হবে, যেন সম্প্রচারে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তবে অনিয়ম বা কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটলে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে—এক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা কার্যকর রাখা সম্ভব নয়।’

রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সভাপতি কাজী জেবেল বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। যেমন প্রার্থীদের আচরণবিধিতে ৯১ ধারা অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে, তেমনি সাংবাদিকদের ওপর হামলার ক্ষেত্রেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যুক্ত করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘নীতিমালাটি যেন শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়-সে বিষয়েও আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা চাইবো, দ্রুত সংশোধনী এনে নীতিমালাটি সাংবাদিক সমাজের জন্য উন্মুক্ত করা হোক।’

  • এসআইবি/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর