দিল্লি যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৬
অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে ১৯ নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন। ভারত মহাসাগরের পাঁচ দেশ নিয়ে গঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের এ সম্মেলন আগামী ২০ নভেম্বর ভারতের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে তিনি দুদিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন।
সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, খলিলুর রহমানের সফর নিশ্চিত হয়েছে। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সূত্রও সফর চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
দিল্লিতে সম্মেলনের বিরতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশি কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করতে পারেনি। ভারতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দুই দেশের নীতিনির্ধারকদের আগ্রহ বিবেচনায় সংক্ষিপ্ত বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি দ্বিতীয়বারের মতো কোনো উপদেষ্টার দিল্লি সফর। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে যোগ দিতে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ভারত সফর করেছিলেন।
গত বছরের আগস্টে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ-ভারত কূটনীতিতে সীমিত অগ্রগতি হলেও বেশ কয়েকটি প্রস্তাবিত বৈঠকে ভারত সাড়া দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক, যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি বৈঠক, সীমান্ত সম্মেলন এবং বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তাব।
কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস ও বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম। সেশেলস যুক্ত আছে পর্যবেক্ষক হিসেবে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে পূর্ণ সদস্য হয়। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সাইবার সুরক্ষা এবং দুর্যোগে সহায়তা— এসব ক্ষেত্রে সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতেই প্ল্যাটফর্মটি কাজ করছে।
চক্রাকারে সদস্যদেশগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করা হয়। এবারের বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের নিরাপত্তা সহযোগিতায় নতুন আলোচনার সুযোগ তৈরি হতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে।

