বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২টি সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৭
স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ইন্টারনেট সংযোগ উন্নত করতে বাংলাদেশ ও ভুটান দুইটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) ঢাকায় দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব দলিলে স্বাক্ষর হয়।
প্রথম সমঝোতা স্মারকটি স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত। এতে সই করে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ভুটানের রয়্যাল সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দলিলে সই করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ও অন্যান্য টেলিযোগাযোগসেবা বাণিজ্য সম্পর্কিত। এটি বাংলাদেশ সরকার ও ভুটানের রয়্যাল সরকারের মধ্যে সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে দলিলে সই করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান।
সমঝোতা স্মারক দুটির সই অনুষ্ঠান ও নথি বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক এবং পরে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী তোবগে আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছান। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ড্রুকএয়ারের ফ্লাইটে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার সংক্ষিপ্ত বৈঠকে তোবগে শুক্রবারের ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে তাঁকে সাময়িক সালাম মঞ্চে নেওয়া হলে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনি প্রদর্শন এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
বিমানবন্দর আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন।
দুপুরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে সরকারের পক্ষ থেকে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
এমএইচএস

