Logo

জাতীয়

নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৯ ইউনিট

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ২২:২৯

নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৯ ইউনিট

ছবি : বাংলাদেশের খবর

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় কড়াইল বস্তির আগুন ৫ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বস্তিতে আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এর আগে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার প্রায় ৪৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতে সক্ষম হয়। এ কারণে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো রাস্তায় ছিল যানজটে আটকা।

ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ গণমাধ্যমকে জানান, আগুন নির্বাপণে সর্বোচ্চ কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। 

ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছালেও কিছু সময় পর শেষ হতে থাকে গাড়িতে থাকা পানি। পরে বিকল্প পানির উৎস খুঁজে পান ফায়ার ফাইটাররা। বস্তির ঝিলপাড় খালে জেনারেটর বসিয়ে সেখান থেকে পানির পাইপ টেনে নিয়ে যাওয়া হয় আগুনের উৎপত্তিস্থলে।

কড়াইল বস্তি সরেজমিনে ঘুরে ও বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগুন লাগার সময় বস্তিতে মানুষ ছিল কম। বস্তির কর্মজীবী মানুষ ছিল সবাই বাইরে। আগুনের খবর পেয়ে অনেকেই ছুটে আসেন বস্তিতে। যে যেভাবে পেরেছেন ঘরের সম্বলটুকু বের করে এনেছেন। আবার কেউ কেউ ঘরেই যেতে পারেননি আগুনের তীব্রতার কারণে।

সিরাজ আলী প্রায় ১০ বছর ধরে থাকেন কড়াইল বস্তিতে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। তার স্ত্রী একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। আর বড় ছেলেটা লেগুনা চালায়, ছোট মেয়েটি স্কুলে পড়ে। আগুন লাগার সময় সিরাজের সাত বছর বয়সী মেয়ে ঘরে ছিল। মেয়েটি বাইরে বের হতে পারলেও সিরাজের ঘরে থাকা কোনো জিনিস বের করতে পারেননি।

এমন অবস্থা এখানকার সব বস্তিবাসীরই। 

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বস্তির রাস্তা অনেক সরু- এ কারণে প্রথমে গাড়ি ঢুকতে বেগ পেতে হয়। এরপর গাড়ি প্রবেশ করেল ছিল স্বল্পতা। বিকল্প হিসেবে খাল থেকে পানি তুলে আগুনে ব্যবহার করা হচ্ছে।

পুরো বস্তিজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

  • এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

অগ্নিকাণ্ড

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর