রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। এটি স্বল্পমাত্রার কম্পন হিসেবে ধরা হচ্ছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালে।
আরও পড়ুন
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ভোররাত ৩টা ২৯ মিনিটে কক্সবাজারের টেকনাফে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল টেকনাফ থেকে ১১৮ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ভূকম্পনবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, টেকনাফে খুব অল্প ঝাঁকুনি দেওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এটি টের পাননি। ইএমএসসি বলেছে, এটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়।
এর আগে গত শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭।
তার আগে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে সারাদেশে অন্তত ১০ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। রিখটার স্কেলে ওই ভুমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা বড় আতঙ্কে আছেন। বিপদের ঝুঁকি বাড়ছে বলেই মত দিয়েছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একটি সমীক্ষা বলছে, পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্ট বা ফাটলরেখায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে। এতে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা আছে।
ডিআর/এমবি

