দামের ঝাঁঝ কমাতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:০৫
বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম চড়া। এ নিয়ে ভোক্তারা রয়েছেন অস্বস্তিতে। এবার পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝ কমাতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার।
জানা যায়, বাজার সহনীয় রাখতে রোববার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেকটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে যে সকল আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তারাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মাসখানেক আগে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকার মতো বেড়ে যায় দাম। প্রতি কেজির দর ওঠে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। এরপর সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দর কিছুটা কমতে থাকে। ধীর ধীরে কমে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় নেমে আসে।
গত সপ্তাহে সরকারের তরফে বলা হয়, পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত আছে। নতুন পেঁয়াজও শিগগিরই বাজারে চলে আসবে। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের এমন পদক্ষেপের সুযোগ নিচ্ছেন মজুতদার ব্যবসায়ীরা। ফলে ফের দাম বাড়ছে। বুধবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
তবে টিসিবির হিসাবে, গত বছরের চেয়ে এখনও ১০ শতাংশ কম দর রয়েছে পেঁয়াজের। এদিকে বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ না এলেও পাতাযুক্ত পেঁয়াজ এসেছে। প্রতি কেজি কেনা যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি করা হবে না– এমন খবরে দর বেড়েছে। মজুতদার ও কৃষক পর্যায়ে দর বাড়ার কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
এর আগে ৯ নভেম্বর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছিলেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা বাজারে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। দেশে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজের মজুত রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। তারপরও যদি আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের কাছে ২ হাজার ৮০০ আবেদন রয়েছে পেঁয়াজ আমদানির। এর দশ শতাংশ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলে দেশে পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে যাবে। তবে দাম একেবারে কমে গিয়ে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকার পর্যবেক্ষণ করছে।’
এসএসকে/

