Logo

জাতীয়

বিজয় দিবসে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং

বিশ্বরেকর্ডের প্রত্যয়

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৪

বিজয় দিবসে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপনকে সামনে রেখে ব্যাপক আকারে বিশেষ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ বছর স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাইডাইভিং করবেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ এই উদ্যোগে বিশ্বের সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুট জাম্পের মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। বৈঠকে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, বিজয় দিবসের দিন সকাল ১১টা থেকে ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর পৃথক ফ্লাই-পাস্ট মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি থাকবে বিশেষ ব্যান্ড-শো। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ‘টিম বাংলাদেশ’-এর ৫৪ প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাইডাইভিং করবেন। জনসাধারণের জন্য এই আয়োজন উন্মুক্ত থাকবে। দেশব্যাপীও তিন বাহিনী ফ্লাই-পাস্ট প্রদর্শনী করবে। পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী ব্যান্ড-শোর আয়োজন করবে সারাদেশে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী বিজয়মেলা, রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ্যাক্রোবেটিক শো এবং যাত্রাপালা ‘জেনারেল ওসমানী’ প্রদর্শন করবে। ১৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিবেশিত হবে বিজয় দিবসের গান। একই দিন ৬৪ জেলায় একযোগে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান পরিবেশন করবেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা।

বৈঠক শেষে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, বিজয় দিবস বাংলাদেশের গৌরবময় দিন। এবারের বিজয় উদ্‌যাপনে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিস্তৃত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে এবারের বিজয় উদযাপন স্মরণীয় হয়ে উঠবে।

দিবসটি উপলক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোকসজ্জা করা হবে। থাকবে ৩১বার তোপধ্বনি, জেলা-উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ অনুষ্ঠান।

চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ সারাদিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ঢাকাসহ সারাদেশের সিনেমা হলে শিক্ষার্থীরা বিনা টিকেটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র দেখতে পারবে। মিলনায়তন ও উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

জাদুঘর, বিনোদনকেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র ও সামাজিক সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে এদিন বিনা টিকেটে প্রবেশ ও প্রীতিভোজের ব্যবস্থা থাকবে। দেশের সব উপাসনালয়ে শহীদদের স্মরণে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

এমএইচএস 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মুক্তিযুদ্ধ দিবস উদযাপন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর