রাজনৈতিক ব্যক্তি ও এমপি প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র নীতিমালা জারি
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৯
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারি করেছে সরকার।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নীতিমালা জারি করেছে।
নীতিমালাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫’।
নীতিমালা অনুযায়ী, সরকার কর্তৃক স্বীকৃত বা অনুমোদিত রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং নির্বাচন কমিশনে বৈধভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল ও গৃহীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান ও রিটেইনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকিকে প্রধান বিবেচনায় নেওয়া হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তিগত সশস্ত্র বাহিনী গঠন রোধ, নির্বাচনকালীন সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ এবং পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
নীতিমালায় ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বলতে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত বর্তমান বা সাবেক উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে। আর ‘পদপ্রার্থী’ বলতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ব্যক্তিকে উল্লেখ করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদানকারী হিসেবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালন করবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘রিটেইনার’ বলতে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য অনুমোদিত সশস্ত্র ব্যক্তিকে বোঝাবে, যাদের নিয়োগ ও কার্যক্রম নির্দিষ্ট বিধিবিধানের আওতায় থাকবে।
নীতিমালার আইনগত ভিত্তি হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র আইন, ১৮৭৮; আগ্নেয়াস্ত্র বিধিমালা, ১৯২৪; দণ্ডবিধি, ১৮৬০; ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এবং নির্বাচন কমিশনের সময়ে সময়ে জারি করা আচরণবিধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এসআইবি/এমএইচএস

