Logo

জাতীয়

স্বাধীনতার সুফল পেতে গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৫২

স্বাধীনতার সুফল পেতে গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ঐক্যের সংস্কৃতি গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং স্বাধীনতার চূড়ান্ত সাফল্যের স্মারক। 

বিজয়ের এই আনন্দঘন দিনে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন, যার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ, বঞ্চনা ও সংগ্রামের ইতিহাস। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। বিজয় দিবসে তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর শহীদ, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রমহারা মা-বোন, শহিদ পরিবারের সদস্য এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রাখা সকল সংগ্রামী যোদ্ধাকে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতায় সীমাবদ্ধ ছিল না; অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাও ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। তবে বিগত পাঁচ দশকের পথচলায় জনগণের পূর্ণ রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক মুক্তি এখনো পুরোপুরি অর্জিত হয়নি।

তিনি বলেন, এই প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটাই হোক মহান বিজয় দিবসে আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকার।

এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধ দিবস উদযাপন গণতন্ত্র

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর