মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর রেওয়াজ অনুযায়ী গত চার দিন স্মৃতিসৌধ এলাকায় সর্বসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোর রাত থেকেই আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের সামনের ঢাকা–আরিচা মহাসড়কজুড়ে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনসহ সাধারণ মানুষের ঢল। কেউ কেউ ৪–৫ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেন স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে শ্রদ্ধা জানাতে।

ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের মহিষাসী এলাকা থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘প্রতি বছরই ভোর রাতেই চলে আসি, যাতে আগেভাগে ঢুকতে পারি। সরকারের ঊর্ধ্বতনরা চলে যাওয়ার পরই আমরা প্রবেশ করেছি। বেদিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তারপর ফিরে যাব।’

এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় চার স্তরের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাও উন্নত করা হয়েছে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে চার হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন রয়েছে, যারা জনগণের জান-মাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়ককে ১৩টি সেক্টরে ভাগ করে চার হাজার পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

সাইফুল ইসলাম শাওন/এনএ