হত্যাকারীরা কীভাবে পালিয়ে যেতে পারল, প্রশ্ন হাদির ভাইয়ের
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৮
আবু বকর সিদ্দিক। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই বিপ্লবের সম্মুখভাগের যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির জানাজা। জানাজার আগে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক প্রশাসনের কাছে তার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
জানাজার নামাজে ইমামতি করার আগে আবু বকর সিদ্দিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সাত থেকে আটদিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের ধরা সম্ভব হলো না কেন? রাজধানীতে প্রকাশ্য দিবালোকে আমার ভাইকে গুলি করার পর হত্যাকারীরা কীভাবে পালিয়ে যেতে পারল, সেই প্রশ্ন আমি রাখছি।’
পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্যকে হারানোর বেদনা প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল শরিফ ওসমান হাদি, আজকে তার লাশ বহন করতে হচ্ছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার দ্রুত বিচার চাই।’
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠিত এই জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন। সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সাধারণ মানুষ ও সহযোদ্ধাদের দাবি, এই গণজমায়েত হাদির প্রতি জনগণের গভীর ভালোবাসা ও বিপ্লবের প্রতি সংহতির বহিঃপ্রকাশ।
গত ১২ ডিসেম্বর বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত ও হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গোসল শেষে মরদেহ জানাজার জন্য সংসদ ভবনে আনা হয়। জানাজা শেষে শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করার জন্য মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওসমান হাদির সম্মানে আজ সারাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।

