সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে অতীতের অপবাদ ঘোচাতে চায় ইসি : সিইসি
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে নির্বাচনব্যবস্থার ওপর যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে, তা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দূর করতে চায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইনের শাসন কাকে বলে, সেটিও এবার মাঠপর্যায়ে প্রমাণ করতে চান তারা। এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চারজন নির্বাচন কমিশনার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) সভায় অংশ নেন।
ডিসি ও এসপিদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আইনের শাসন কাকে বলে, তা এবার আমরা দেখিয়ে দিতে চাই। খারাপ নির্বাচনের যে অপবাদ আমাদের ওপর আরোপ করা হয়েছে, তা একটি ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে ঘুচিয়ে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, আইন সবার জন্য সমান— অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না।
বক্তব্যের শুরুতে সিইসি ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
নাসির উদ্দিন বলেন, দেশের ওপর একটি বড় জাতীয় ও সাংবিধানিক দায়িত্ব এসে পড়েছে। মাঠপর্যায়ের প্রশাসনই রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভরকেন্দ্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কার্যকরভাবে কাজ করলেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। ডিসি ও এসপিদের উদ্দেশে সিইসি আরও বলেন, সংকটময় সময়ে দেশকে সঠিক পথে ও স্থিতিশীল অবস্থায় রাখা তাদের দায়িত্ব। ‘আপনারা কাজ করলে আমার কর্তৃত্ব কার্যকর থাকবে, আর আপনারা কাজ না করলে আমার কর্তৃত্বও কার্যকর হবে না,’ বলেন তিনি।
নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে যে এর আগে নির্বাচন ‘ম্যানেজ’ করা হয়েছে। এসব অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে বর্তমান কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করতে চাই, নির্বাচন কমিশন চাইলে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।’
সিইসি উল্লেখ করেন, এটি সম্ভব একমাত্র আইনের শাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই। তাই মাঠপর্যায়ের প্রশাসনকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। তার মতে, আইনের শাসনের সফল প্রয়োগই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করবে এবং গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।
এসআইবি/এমএইচএস

