Logo

জাতীয়

নির্বিঘ্ন ভোটের নির্দেশ ইসির, মাঠ প্রশাসন বলছে চ্যালেঞ্জ আছে

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫৫

নির্বিঘ্ন ভোটের নির্দেশ ইসির, মাঠ প্রশাসন বলছে চ্যালেঞ্জ আছে

গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈঠকে ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা এবং নেতিবাচক প্রচারণার কারণে ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তা, ডিআইজি ও পুলিশ সুপারসহ দুই শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিশন মাঠ প্রশাসনের কাছ থেকে প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জের কথা শোনে এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ‘ঐতিহাসিক মডেল নির্বাচন’ আয়োজনের নির্দেশনা দেয়।

বৈঠকে জানানো হয়, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক থাকলেও রাজনৈতিক কোন্দল, অবৈধ অস্ত্র, গুজব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের মাধ্যমে অপপ্রচারের ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না আসতে প্ররোচিত করার চেষ্টা হলে তা টার্নআউটে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে অপরাধীদের জামিনের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মাঠ প্রশাসনের কাজ সহজ হবে। কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা চিহ্নিত অপরাধীরা যাতে নির্বাচনকালীন সময়ে জামিন না পান, সে বিষয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েনের দাবি ওঠে।

খুলনা বিভাগ থেকে সংঘাতপ্রবণ এলাকায় বিশেষ অভিযান, ড্রোন ব্যবহারের প্রস্তাব আসে। রাজশাহী পুলিশ কমিশনার জানান, এআই-জেনারেটেড ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, যা রোধে বিটিআরসির সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভোটের আগে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ভোটার উপস্থিতি কমানোর চেষ্টা হতে পারে। এ ধরনের লেনদেন কঠোরভাবে নজরদারির দাবি জানানো হয়।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অতিরঞ্জিতভাবে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হলে ভোটার উপস্থিতি কমে যেতে পারে, যা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কাছেও বিব্রতকর হবে।

কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন জানান, প্রায় ১ হাজার ৯০০ ভোটকেন্দ্রের বিপরীতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য নেই। লজিস্টিক ও পরিবহন সংকটের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

মাঠ প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাসে সন্তোষ প্রকাশ করে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, আইনানুগভাবে কাজ করলে নির্বাচন কমিশন সব সময় মাঠ প্রশাসনের পাশে থাকবে এবং যেকোনো অপতৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

এসআইবি/আইএইচ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জেলা প্রশাসক সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর