Logo

জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত গেজেট দ্রুত প্রকাশের দাবি

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫৮

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত গেজেট দ্রুত প্রকাশের দাবি

‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি-টোবাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। একই সঙ্গে অধ্যাদেশটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সংগঠন দুটি।

শুক্রবার(২৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞা ও আত্মা জানায়, এই অধ্যাদেশের অনুমোদন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আইনটি কার্যকর হলে দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগ ও মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে।

প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দ্রুতই অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। এতে বিলম্ব হলে তামাক কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়বে। অতীতে সংশোধনী প্রক্রিয়ায় এ ধরনের হস্তক্ষেপের নজির রয়েছে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ক্যানসার, স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। বর্তমানে দেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কোনো না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করে।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, দেশে তামাক ব্যবহার ও উৎপাদনের কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ খাতে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা একই সময়ে তামাক খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের দ্বিগুণেরও বেশি।

তামাকের ব্যবহার কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন আরও শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই সংশোধনী উদ্যোগ গ্রহণ করে। অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ ও বাস্তবায়িত হলে তামাকজনিত মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এসআইবি/আইএইচ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর