Logo

মতামত

সক্ষমতার বড় অংশ ফুরায় রাস্তায়!

মেহেদী হাসান শোয়েব

মেহেদী হাসান শোয়েব

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৩:২৮

সক্ষমতার বড় অংশ ফুরায় রাস্তায়!

ঢাকা শহরে প্রতিদিন কর্মস্থলে যাওয়া-আসা এক ভয়াবহ যন্ত্রণার নাম। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই হাজার হাজার মানুষ বাসা থেকে বের হয়। কারও গন্তব্য অফিস, কারও স্কুল, কারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেই গন্তব্যে পৌঁছাতে তাদের যে ভোগান্তি পোহাতে হয়, তা অনেক সময় কাজের চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায়। সকাল সাতটায় বাসা থেকে বের হওয়া মানুষেরও দেখা যায়, কোনো কোনো দিন কর্মস্থলে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যায়। অফিস শেষে বাসায় ফিরতে আবার লেগে যায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা। প্রতিদিন এই ধকল সামলাতে গিয়ে মানুষের মানসিক শক্তি, শারীরিক কর্মক্ষমতা এবং সৃজনশীলতার বড় অংশ রাস্তায় নিঃশেষ হয়ে যায়।

একজন অফিসগামী চাকরিজীবীর উদাহরণ ধরা যাক। গুলশান থেকে মতিঝিলে পৌঁছাতে তার লাগার কথা সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। কিন্তু বাস্তবে প্রতিদিন অন্তত দুই ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। ফেরার সময় আরও বেশি। অর্থাৎ প্রতিদিন যাতায়াতে অপচয় হচ্ছে কমপক্ষে চার ঘণ্টা। মাস শেষে এটি দাঁড়ায় ৮০ থেকে ৯০ ঘণ্টা। এই সময়েই অন্তত দশ দিন পূর্ণকালীন কাজ করা যেত। এভাবে লাখ লাখ মানুষের সময় ও সক্ষমতা ঢাকার রাস্তায় ফুরিয়ে যাচ্ছে।

যদি এই অচলাবস্থা না থাকত এবং নির্বিঘ্ন যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকত, তবে প্রত্যেক কর্মজীবী মানুষ নিজের কর্মক্ষেত্রে দ্বিগুণ দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা প্রদর্শন করতে পারত। রাস্তার দুর্ভোগে ক্লান্ত হয়ে যখন কেউ অফিসে ঢুকছে, তখন তার স্বাভাবিক কাজের মানসিকতা নষ্ট হয়। এটি শুধু ব্যক্তিগত নয়, দেশের সামগ্রীক অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করে।

ঢাকা এক অদ্ভূত শহর। এখানে প্রতিদিন উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমছে বলে মনে হয় না। মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, গাজীপুর-বিমানবন্দর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)— প্রতিটি প্রকল্পেই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ। নিঃসন্দেহে এগুলো আধুনিকায়নের প্রতীক। তবে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের সমস্যা কতটা কমাচ্ছে, সেটাই মূল প্রশ্ন।

মেট্রোরেল ঢাকার যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। কিন্তু ভাড়া এখনও বহু মানুষের নাগালের বাইরে। এটি সীমিত এলাকায় সীমাবদ্ধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মূলত ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য। ফলে যারা গণপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল, তারা সুবিধা পান না। বিআরটি প্রকল্প বছরের পর বছর ধরে নির্মাণকাজের কারণে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ দিয়েছে। এখনো পুরোপুরি চালু করা যায়নি।

অর্থনীতিবিদদের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার যানজট প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার সমমূল্যের উৎপাদনশীল সময় ও জ্বালানি নষ্ট করে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মঈনুদ্দিন জানিয়েছেন, ক্রমাগত যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতি বছর আনুমানিক ৫০ লক্ষ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এর ফলে প্রায় ৩৭,০০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) অনুসারে, ২০২০ সালে যানজটের কারণে অর্থনীতি ৫৬,০০০ কোটি টাকা (৬.৫ বিলিয়ন ডলার) হারিয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ ঢাকা ও আশপাশে বসবাস করে। এর কারণ হলো— রাজধানীতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে সচিবালয়, প্রশাসনের প্রধান দফতর, সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাসহ সব অবকাঠামো। ফলে ঢাকায় প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে এবং শহর ক্রমশ অচল হয়ে পড়ছে।

ঢাকা দেশের জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ জোগান দেয়। দেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় অর্ধেক এখানেই। তাই রাজধানীর যানজট কেবল ব্যক্তিগত দুর্ভোগ নয়, জাতীয় অর্থনীতির ওপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে।

বিশ্বব্যাংকের Towards Great Dhaka প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় যানবাহনের গড় গতি এক দশকে ২১ কিলোমিটার থেকে নেমে ৭ কিলোমিটারের নিচে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে প্রায় ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা। বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম লিডার রাজেশ রোহাতগির ভাষায়— ‘যানজট শুধু যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ায় না, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।’

বিআইডিএস ও পিআরআই-এর গবেষণা বলছে, ঢাকার যানজট দেশের জিডিপির প্রায় ৬–১০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ARI) অনুসারে, ঢাকায় যানজট পাঁচটি খাতে ক্ষতি ডেকে আনে—

  • কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়া
  • অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ
  • ফুটপাথ ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি
  • ব্যস্ত সময়ে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি
  • পরিবেশ দূষণ

শুধু ২০২০ সালেই এ কারণে দৈনিক ১৫৩ কোটি টাকা অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিদিন মানুষ গড়ে ১ কোটি ৯০ লাখ কর্মঘণ্টা হারাচ্ছে, যার মূল্য প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা।

জানজটের সময় ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হয়, যার দৈনিক মূল্য ৪.২ কোটি টাকা। সেইসাথে পরিবেশ দূষণজনিত ক্ষতির অর্থনৈতিক মূল্য ৮.৭ কোটি টাকা।

যানজটের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। ব্যস্ত সময়ে মোট দুর্ঘটনার ৪০ শতাংশই ঘটে মোড়গুলিতে। পুলিশ বলছে, ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে ব্যস্ত সময়ে গড়ে ৮০ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হন।

ফুটপাথের ক্ষতিও গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা শহরের প্রধান ২০০ কিলোমিটার সড়কে ফুটপাথের স্থিতিস্থাপকতা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এর দৈনিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ০.৮২ মিলিয়ন টাকা।

যানজটের অদৃশ্য ক্ষতিও রয়েছে। যেমন— মানুষের কাজের প্রতি অনীহা, মানসিক চাপ, পারিবারিক দূরত্ব। বাবা-মা অফিস থেকে ফিরে দেখেন সন্তান ঘুমিয়ে গেছে। আবার জ্যামে পড়ে অফিসে দেরি হবার ভয়ে সন্তান ঘুমে থাকতেই হয়ত অনেক বাবা-মাকে অফিসে ছুটতে হয়। সন্তানের সাথে সময় দেওয়ার সুযোগ হয় না তেমন। পরিবারে একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার সংস্কৃতি হারিয়েই যাচ্ছে। ফলে এই যানজট কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে না, মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মানুষকে একা এবং বিষণ্ন করছে।

যানজটের স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও কম নয়। ধোঁয়া, ধুলা আর ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লান্তিকর বসে থাকা— এসবের কারণে শ্বাসকষ্ট, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, এমনকি মানসিক অবসাদের মতো রোগ দ্রুত বাড়ছে।

ঢাকার জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ১৯৯৫-২০০৫ সালের মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ। ফলে যানজট ও বায়ু দূষণ একসাথে শহরের মানুষকে চাপে ফেলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় যানজটের কারণে পরিবেশগত ক্ষতির আর্থিক মূল্য প্রতিদিন ৮৭ মিলিয়ন টাকা। ২০৩০ সালের মধ্যে এ শহরে জনসংখ্যা ৩ কোটিরও বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মোট নগর জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ বৃহত্তর ঢাকায় বাস করে, যা পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ মহানগরে পরিণত করেছে শহরটিকে। ২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ঢাকাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে হলে পূর্ব ঢাকার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। শহরের কেন্দ্রের কাছেই বিশাল জমি থাকা সত্ত্বেও তা এখনো যথাযথভাবে কাজে লাগানো হয়নি। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে পূর্ব ঢাকা হতে পারে নতুন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র, যা কেবল উচ্চ মূল্য সংযোজনকারী কর্মসংস্থান তৈরি করবে না, বরং ঘনবসতি ও যানজটও কমাবে। তবে, অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিতভাবে পূর্ব ঢাকায় নগরায়ণ হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এতে যানজট, বসবাসযোগ্যতার সংকট, এমনকি বন্যা ও ভূমিকম্পের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়বে।

ঢাকার নগর উন্নয়ন যানবাহনকেন্দ্রিক। আধুনিক বিশ্বের সফল শহরগুলোতে গণপরিবহনকেন্দ্রিক উন্নয়ন অগ্রাধিকার পায়। দিল্লি, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, ইস্তাম্বুল— সব শহরেই দ্রুত, সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ঢাকায় এমন চিন্তা এখনো পুরোপুরি দেখা যায় না।

পেশাগত কর্মক্ষমতার প্রকাশ ঘটে কর্মঘণ্টার বাস্তব ব্যবহারের ভেতর দিয়ে। ঢাকার মতো শহরে বহু পেশাজীবীর কর্মঘণ্টার বড় অংশ রাস্তায় শেষ হয়। দেশের উন্নয়ন, উৎপাদন ও সৃজনশীলতায় ব্যয় হওয়ার শক্তি হারিয়ে যাচ্ছে। এই ক্ষতি শুধু ব্যক্তিগত নয়, জাতীয় উন্নয়নেরও বড় অন্তরায়।

কী করা যেতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন— ঢাকায় কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, হাঁটা ও সাইকেল চালানোর মতো সক্রিয় পরিবহন উৎসাহ দেওয়া এবং নগরের বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়।

যানজটের কারণে নষ্ট হওয়া কর্মঘণ্টা, অপচয় হওয়া জ্বালানি আর ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি যদি রোধ করা না যায়, তবে অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত গতি কখনোই আসবে না। ঢাকাকে বাসযোগ্য ও কর্মক্ষম শহরে রূপান্তর করতে হলে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে—

১. বাস রুট রেশনালাইজেশন : ঢাকার প্রতিটি রুটে সুশৃঙ্খলভাবে বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। 

২. গণপরিবহনে ভর্তুকি : মেট্রোরেল ও উন্নতমানের বাস সার্ভিসে ভাড়া কমানো। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তও সুবিধা পাবেন।

৩. ফুটপাত সংস্কার ও পথচারী নিরাপত্তা : ঢাকার অর্ধেক মানুষ প্রতিদিন হেঁটে যাতায়াত করে। নিরাপদ ফুটপাত থাকলে রিকশা ও গাড়ির চাপ কমবে।

৪. সাইকেল উৎসাহিত করা : সাইকেল লেন চালু করলে লেকরোড, গুলশান ও উত্তরা এলাকায় যানজট কমবে।

৫. বহুমুখী পরিবহন সমন্বয় : মেট্রোরেল, বাস, রেল— সব ব্যবস্থা একত্রিত করতে হবে। উদাহরণ— কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মেট্রোরেল সংযোগ করা।

৬. বিকেন্দ্রীকরণ : সবকিছু ঢাকায় কেন্দ্রীভূত না করে প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। এতে ঢাকায় চাপ কমবে। মানুষের ঢাকামুখী হওয়া থামাতে না পারলে হাজার পরিকল্পনা করেও কাজের কাজ কিছু হবে বলে মনে হয় না। প্রতিটা অঞ্চলের মানুষের জন্য নিজ নিজ এলাকায় কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে হবে।

উন্নয়ন বাস্তবায়নের প্রথম শর্ত হলো নির্বিঘ্ন যাতায়াত। মেগা প্রকল্প নয়, মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের স্বস্তি ও গতি দিয়ে উন্নয়নের মান যাচাই করা উচিত।

উন্নয়ন তখনই প্রকৃত, যখন তা মানুষের জীবনে আনন্দ, স্বস্তি ও কর্মক্ষমতার নতুন দ্বার উন্মোচন করে। ঢাকায় যদি সেই পথে পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, প্রতিদিন মানুষের সক্ষমতা রাস্তায়ই শেষ হয়ে যাবে অনেকাংশে।

মেহেদী হাসান শোয়েব : লেখক, প্রকাশক, বিতার্কিক; শিফট ইনচার্জ, বাংলাদেশের খবর

  • বাংলাদেশের খবরের মতামত বিভাগে লেখা পাঠান এই মেইলে- bkeditorial247@gmail.com 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

যানজট

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর