Logo

মতামত

প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রে ৯ম ও ১০ম গ্রেড বিতর্কের যৌক্তিক বিশ্লেষণ

Icon

মো. এনামুল হক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ২১:৩৩

প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রে ৯ম ও ১০ম গ্রেড বিতর্কের যৌক্তিক বিশ্লেষণ

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য জাতীয় বেতন কাঠামোতে ২০টি গ্রেড বিদ্যমান। সাধারণ ক্যাডারে বেতন গ্রেডের সকল গ্রেড সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও বিশেষায়িত প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র ফিল্ড ও ডেস্ক ইঞ্জিনিয়ারিং বিবেচনায় প্রাথমিক নিযুক্তিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য দশম গ্রেডভুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী/ সমমান এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নবম গ্রেডভুক্ত সহকারী প্রকৌশলী/সমমানের পদ নির্ধারিত রয়েছে। এই ব্যবস্থার পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক যুক্তি, আন্তর্জাতিক স্বীকৃত শ্রেণিবিন্যাস, এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে গড়ে ওঠা প্রশাসনিক কাঠামো।

দীর্ঘদিন থেকে বিষয়টি মীমাংসিত থাকলেও সম্প্রতি দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিশেষত বুয়েট শিক্ষার্থীরা দশম গ্রেড বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উন্মুক্তকরণের দাবি উপস্থাপন করেছে। বেকারত্ব হ্রাসের বিষয়টি দাবির পেছনে যুক্তি হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে।

যদিও দেশের অগ্রগতি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়ন, উচ্চতর গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য উচ্চ প্রকৌশলে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা হয়। সেখানে আধুনিক বিশ্বব্যবস্থায় তাদের এই দাবি শুধু হাস্যকর নয়, অবিবেচনাপ্রসূত বলাটা শ্রেয়। কারণ এখন উন্মুক্ত বিশ্বব্যবস্থায় মেধাবীরা চাকরির পেছনে দৌঁড়ায় না, বরং চাকরি তাদের খুঁজে বের করে।

তাই বলতে হয় দেশের মেধাবী সন্তানদের এই দাবি শুধু বাস্তবতা বিবর্জিত নয় বরং রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থি ও উৎপাদনশীলতার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার কারিকুলাম সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কারিকুলাম সাজানো হয়েছে মূলত প্র্যাকটিক্যাল বা হাতে-কলমে কাজকেন্দ্রিক, যেখানে মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, অপারেশন এবং ছোট টিম ব্যবস্থাপনার মতো কাজ করবে। অন্যদিকে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার কারিকুলাম হলো থিওরি, গবেষণা, ডিজাইন, পরিকল্পনা ও উন্নয়নকেন্দ্রিক।

অর্থাৎ একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকেন, আর একজন ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার সেই বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নকশা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এই দুই স্তরের কাজের মধ্যে সরাসরি প্রতিস্থাপনযোগ্য সম্পর্ক নেই, বরং একটি অপরটির পরিপূরক।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসিফিকেশন অব অকুপেশনস (ISCO) অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রকে উচ্চ, মধ্য ও নিম্নস্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। উচ্চস্তরে থাকে ম্যানেজার ও প্রফেশনালরা, মধ্যস্তরে থাকে প্যারাপ্রফেশনাল, আর নিম্নস্তরে থাকে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকরা।

বাংলাদেশেও এ ধরনের শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (BNQF) প্রণীত হয়েছে। এই কাঠামোতে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়াররা প্রফেশনাল স্তরের এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা প্যারাপ্রফেশনাল স্তরে অন্তর্ভুক্ত।

ফলে, নবম গ্রেডে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার এবং দশম গ্রেডে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ সম্পূর্ণ যৌক্তিক, যা আন্তর্জাতিক নিয়মের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বাংলাদেশের উৎপাদনশীলতার সার্বিক চিত্র বিবেচনা করলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে জনপ্রতি উৎপাদনশীলতা মাত্র ১০.৮৪ শতাংশ, যা শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া এমনকি ভারতের চেয়েও কম। এর অন্যতম কারণ হলো কোয়ালিফিকেশন মিসম্যাচ, যেখানে সঠিক যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষকে সঠিক স্তরের কাজ দেওয়া হয় না। Right person in right place নীতি অনুসরণ না করার কারণে দেশে দক্ষ জনবল থাকলেও উৎপাদনশীলতা বাড়ছে না।

এখন যদি ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়াররা দশম গ্রেডে চাকরিতে প্রবেশ করে, তবে সেই অসামঞ্জস্য আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। একজন উচ্চশিক্ষিত ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারকে মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিলে তার মেধা ও দক্ষতার অপচয় হবে, একই সাথে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হবে। ফলে পুরো কর্মপরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে যে ভূমিকা রাখেন তা সর্বজন স্বীকৃত। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়নের প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ কাজ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। বিদ্যুৎ, পানি, সড়ক, সেতু, ভবন নির্মাণ, শিল্পকারখানার যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকাণ্ডে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা প্রতিনিয়ত হাতে-কলমে কাজ করে চলেছেন।

অন্যদিকে, ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়াররা এই বাস্তবায়ন কার্যক্রমের নকশা প্রণয়ন, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ জনবল ব্যবস্থাপনায় Classified Workforce Forecasting করা হয়। ইউরোপ ও আমেরিকায় মধ্যস্তরের টেকনোলজিস্টদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। চীন, জাপান, সিংগাপুর এমনকি ভারতের মতো দেশেও এখন শুধু ইঞ্জিনিয়ার তৈরি না করে টেকনোলজিস্ট তৈরির উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। এখানে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হলো গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, আর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হলো বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ। যদি উল্টোভাবে তাদের বসানো হয়, তবে জাতীয় উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাওয়া স্বাভাবিক।

বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী দশম গ্রেডভুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী/ সমমান পদ থেকে ৩৩ শতাংশ জনবলকে পরবর্তী পদে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও যৌক্তিক প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, যা শুধু বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক জনবল ব্যবস্থাপনায়ও বিদ্যমান। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (BCS) কড অব কন্ডাক্ট  এবং জাতীয় বেতন কাঠামো নীতি ২০১৫ অনুযায়ী নিম্ন গ্রেড থেকে উচ্চ গ্রেডে নিদিষ্ট অংশের পদোন্নতি চালু রাখার মাধ্যমে একদিকে অভিজ্ঞ জনবলকে প্রণোদনা দেওয়া হয়, অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে ন্যায্য প্রতিযোগিতা বজায় থাকে।

এই ব্যবস্থার ফলে মাঠপর্যায়ে দীর্ঘদিন কাজ করা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উচ্চ গ্রেডে উন্নীত হওয়ার সুযোগ পান, যা প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা ও কর্মদক্ষতা বজায় রাখতে অপরিহার্য। ফলে দশম গ্রেডে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ এবং সেখান থেকে ৩৩ শতাংশ জনবলকে পদোন্নতি দেওয়া একটি যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত নীতি।

বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে (Fourth Industrial Revolution – 4IR) কেবল চাকরির উপর নির্ভরশীলতা না রেখে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উচ্চতর গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে স্টার্ট-আপ, সফটওয়্যার কোম্পানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবটিক্স, নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহ ইত্যাদি খাতে উদ্যোক্তা হওয়ার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা হাতে-কলমে প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (SME), মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাত, কারিগরি সেবা প্রদান, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন শিল্প-উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

সরকার ও বেসরকারি বিনিয়োগ খাত যদি ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সমন্বিতভাবে ইনোভেশন সেন্টার, টেকনোলজি পার্ক, বিজনেস ইনকিউবেশন হাব এবং ভেঞ্চার ফান্ড চালু করে, তবে তারা শুধু চাকরি প্রার্থী নয়, বরং চাকরিদাতা হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ফলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উভয়ের জন্যই উদ্যোক্তা হওয়ার দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে।

স্বাধীনতার পরবর্তী ৫ দশকে পরিকল্পনা মাফিক জনচাহিদার পরিসংখ্যান নির্ণয় করা হয়নি। ফলে কোন সেক্টরে কত পরিমাণ জনবল প্রয়োজন, তার সঠিক ধারণা রাষ্ট্রের কাছে নেই। বরং ঢালাওভাবে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে দেশে অপরিকল্পিতভাবে উচ্চতর ডিগ্রিধারী তথা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু তাদের জন্য মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষা, প্রয়োগিক দিক এবং যথেষ্ট গবেষণার সুযোগ তৈরি করা হয়নি।

অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করছেন। কিন্তু সেই তুলনায় নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক সরকারি পর্যায়ে কর্মসংস্থান তেমন বাড়েনি।

এ কারণে মানসম্মত দক্ষ জনবলের অভাবে বেসরকারি খাতের মধ্যমস্তরের ম্যানেজারিয়াল পদে কয়েক লক্ষ বিদেশি কাজ করছে। এটি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে স্পষ্ট করছে। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেকারত্ব হ্রাসে অনেক ক্ষেত্রে নিম্নপদে চাকরিতে প্রবেশ করছেন। অথচ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, টানেল সহ আধুনিক প্রযুক্তির নানান স্থাপনা পরিচালনার জন্য বৈদেশিক জনবলের দিকে রাষ্ট্রকে ঝুঁকতে হচ্ছে।এমনকি তথ্য প্রযুক্তি খাতের সাইবার সিকিউরিটির মতো কাজে বিদেশ নির্ভর হতে হচ্ছে। মূলত শ্রেণী-দ্বন্দ্ব এখান থেকেই উৎপত্তি এবং জাতীয় মেধার মারাত্মক অপচয়। এই অপচয় রোধে Right person in right place দর্শন অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক।

উচ্চতর প্রকৌশলে স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য দশম গ্রেড উন্মুক্তকরণের দাবি কেবল অযৌক্তিক নয় বরং এটি জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য এক ধরনের হুমকি। একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েটকে তার উপযুক্ত পর্যায়ে না রেখে নিচের স্তরে নামানো মানে তার যোগ্যতার অপচয়, সাথে দেশের অর্থের ও অপচয়। এ ধরনের আত্মঘাতী দাবি বাস্তবায়িত হলে সমন্বিত জনবল কাঠামো ভেঙে পড়বে, কাজের মান বজায় রাখা সম্ভব হবে না। যার প্রভাব পড়বে জাতীয় পর্যায়ে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাষ্ট্র। 

বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য দরকার একটি সমন্বিত ও শ্রেণিবিন্যস্ত প্রকৌশল জনবল কাঠামো। নবম গ্রেডে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার এবং দশম গ্রেডে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার— এই বিদ্যমান ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, শিক্ষাগত কাঠামো এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সব দিক থেকেই যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য। তাই এই ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করার দাবি অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয় এবং রাষ্ট্রীয় উৎপাদনশীলতার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বার্থে উচিত প্রতিটি স্তরে সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় বসানো, যাতে জনশক্তির সর্বোচ্চ দক্ষতা কাজে লাগানো যায়।

আশা করা যায় নীতিনির্ধারক মহল বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করবেন এবং স্নাতক প্রকৌশলীরা সরকারের উপর গবেষণার ক্ষেত্র বাড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করবেন, যা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

মো. এনামুল হক : দক্ষতা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন অ্যাক্টিভিস্ট; বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক(BNQF) প্রণয়ন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের মেম্বার

  • বাংলাদেশের খবরের মতামত বিভাগে লেখা পাঠান এই মেইলে- bkeditorial247@gmail.com 

এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর