Logo

মতামত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন কিছু স্মৃতি

Icon

ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৮

বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন কিছু স্মৃতি

১৯৭৭ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের লিগ্যাল কমিটির আন্তর্জাতিক আইন সংক্রান্ত কিছু কাজ সমাপ্ত করে দেশে ফিরে আমি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করি। তিনি কথায় কথায় একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন বলে জানান এবং তা করলে কেমন হয় সে সম্পর্কে আমার মতামত জানতে চান। আমি তাকে বলি যে, আপনার মত দেশদরদী, কঠিন পরিশ্রমী ও সৎ ব্যক্তিত্ব যদি রাজনৈতিক দল গঠন করেন তাহলে সাধারণ মানুষ রাজনীতিতে আস্থা ফিরে পাবে। প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ১৯৭৮ সালের প্রথম দিকে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে আহ্বায়ক করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) গঠিত হয় এবং প্রথমে এর কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটিতে আমিও একজন সদস্য হিসেবে ছিলাম। কাজ শুরু হল।

মির্জা গোলাম হাফিজ ভাই, মাইদুল ইসলাম মুকুল এবং আমি মাইদুলের গাড়ি নিয়ে পাবনা যাই জাগদলকে তৃণমূলে সম্প্রসারণের উদ্দেশ্য নিয়ে। পাবনার স্নেহাস্পদ ফরহাদ উল্লাহ যদিও বয়সে ছোট এবং তার সাথে সাথে সিনিয়র অ্যাডভোকেট সবুর আমাদের যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা করেন। সেখান থেকে আমরা নওগাঁ যাই। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নওগাঁতে একটি জনসভা করেন। নওগাঁর জনগণ নওগাঁকে জেলায় উন্নীত করার দাবী জানায়। জনসভার পরে প্রেসিডেন্ট জিয়া নওগাঁকে জেলায় উন্নীত করা যায় কিনা সে ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি যে, ব্রিটিশ আমলে নওগাঁকে জেলা করার ব্যাপারে কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটি জেলা করার পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছিল। পুরোনো রেকর্ড খুঁজলে তা হয়ত পাওয়া যাবে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পকেট থেকে ডায়েরি বের করে নোট লিখে নিলেন। বুঝলাম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নওগাঁকে জেলা করার ব্যাপারে কোন রিপোর্ট আছে কিনা তা জানার জন্য নোট লিখে রাখলেন।

মির্জা গোলাম হাফিজ ভাই, মাইদুল ইসলাম এবং আমি পরবর্তীতে রাজশাহী যাই। রাজশাহী বারে অ্যাডভোকেট বন্ধুদের সাথে আলাপ করি। স্থানীয় পর্যায়ে তখন অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান আমাদের কন্টাক্ট পয়েন্ট হিসেবে ছিলেন। বারে অনেকের সঙ্গে আলাপ হয় এবং যায় সদস্যদের নিয়ে একটি ছোটখাট মিটিং করে জাগদল গঠনের পটভূমি সম্পর্কে আমরা সেখানে বক্তৃতা করি। রাজশাহী পৌরসভার চেয়ারম্যান তখন জনাব এমরান আলী সরকার। তিনি রাজশাহীতে ভাসানীপন্থী ন্যাপের সভাপতি। ভাসানীপন্থী ন্যাপ তখনও জাগদলে যোগদান করবে বলে পুরোপুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। মির্জা ভাই, মাইদুল ইসলাম এবং আমি এরপরে জনাব একরামুল হকের সঙ্গে দেখা করলাম। একরামুল হক এবং আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একে অপরের পরিচিত। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের। মনোনয়ন নিয়ে ডাকসু'র ভিপি নির্বাচিত হন। জনাব এমরান আলী সরকার, অ্যাডভোকেট কালাম চৌধুরী একরামুল হককে পেলে রাজশাহীর রাজনীতিতে আমরা অনেকটা এগিয়ে যেতে পারব। পৌর চেয়ারম্যান এমরান আলী সরকার সাহেব অবশেষে জাগদলের আহ্বায়ক হতে রাজী হলেন। কালাম চৌধুরী, একরামুল হক ও বজলুর রহমান সহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে জাগদলের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে আমরা ঢাকা ফিরে এলাম। এভাবে আমাদের মত অন্যান্য সদস্যদের অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে দেশের প্রতিটি জেলাতে জাগদলের কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

পরবর্তীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে একটি ব্যাপকভিত্তিক রাজনৈতিক প্লাটফরম গঠনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নামে একটি নূতন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যেখানে সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা শক্তি যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এরই মধ্যে মাওলানা ভাসানী ইন্তেকাল করেছেন। তার ছলে জনাব মশিউর রহমান যাদু মিয়া ন্যাপ ভাসানীর নেতা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ন্যাপ ভাসানীর কাউন্সিল মিটিং ডাকলেন ঢাকায় তাদের পার্টির কাউন্সিল ঢাকার একটি হোটেলে বসে সিদ্ধান্ত নিল যে, সেদিন থেকে ন্যাপ ভাসানী বিলুপ্ত হল এবং ভবিষ্যতে নূতন শর্তে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত পার্টিতে তারা যোগ দেবে এবং আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তারা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সমর্থন দেবে। জাগদল স্থগিত করে বিএনপি গঠন করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হল জাগদল স্থগিত করার দিন আহ্বায়ক বিচারপতি আব্দুস সাত্তার প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন। আমরাও যারা প্রথম থেকে জাগদলে জড়িত ছিলাম।

তারাও মনে কষ্ট পেলাম। প্রেসিডেন্ট জিয়া বললেন, বড় কিছু পেতে হলে কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। ভবিষ্যতে সবাই ভাল ফল পাবেন।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তারিখে রমনা রেস্তোরাঁর পাশে প্যান্ডেল টানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠনের ঘোষণা প্রদান করার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এতে বক্তৃতা করলেন এবং বিএনপি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেন। নব ঘোষিত রাজনৈতিক দল বিএনপি'র চেয়ারম্যান হলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং মহাসচিব হলেন ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াকে, 'আপনি সৎ ব্যক্তি, পার্টি চালানোর টাকা কোথায় পাবেন?' প্রেসিডেন্ট জিয়া উত্তরে বললেন, 'Money Is no problem if you work in the interest of the people and the country.' এভাবেই বিএনপি'র জন্য হল। দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র তৈরি হল। জনগণের স্বার্থে সরকারের করণীয় কার্যসূচি ১৯টি দফায় লিপিবদ্ধ করা হল।

প্রেসিডেন্ট জিয়া পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলের স্ট্যান্ডিং কমিটি বা জাতীয় স্থায়ী কমিটির ১১ জনের নাম ঘোষণা করলেন। ১। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-চেয়ারম্যান ২। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার ভাইস চেয়ারম্যান ৩। ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী -মহাসচিব ৪। শাহ আজিজুর রহমান সদস্য ৫। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার

সদস্য ৬। ডা. ইউসুফ আলী (চট্টগ্রাম) সদস্য ৭। শেখ রাজ্জাক আলী সদস্য ৮। প্রফেসর একরামুল হক (রাজশাহী) সদস্য ৯। সৈয়দ মহিবুল হাসান (সিলেট) সদস্য ১০। আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী (বরিশাল, অধুনা পটুয়াখালী) সদস্য ১১। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সদস্য। স্ট্যান্ডিং কমিটি বিএনপি'র গঠনতন্ত্র মোতাবেক পার্টির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। প্রেসিডেন্ট জিয়া প্রতি সপ্তাহে এর মিটিং ডাকতেন। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করতেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম কমেছে নাকি বেড়েছে এবং কি কি পলিসি গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে সকলের মতামত নিতেন। স্ট্যান্ডিং কমিটির সেক্রেটারি হিসেবে কর্নেল আলাউদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

মনে পড়ে একদিন স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং শেষ করতে অনেক সময় লাগল। সম্ভবত: পাত্রী অফিসেই প্রেসিডেন্ট সাহেবের আপ্যায়নে চাইনিজ খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। হঠাৎ প্রেসিডেন্ট সাহেব বললেন, দিনাজপুরের খবর কি? আমি বললাম, যতটুকু জানি ভাল। কর্নেল মহসিন সাহেবকে টেলিফোনে ধরতে বললেন। মহসিন সাহেব টেলিফোন ধরেই সালাম দিয়ে আলাউদ্দিনকে দিনাজপুর জেলার বিএনপি প্রেসিডেন্ট এবং দিনাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান বললেন, স্যার বিশেষ কোন খবর আছে নিশ্চয়ই। নইলে এত রাতে টেলিফোন করতেন না। প্রেসিডেন্ট সাহেব হেসে বললেন, আপনি রাতে আরামে ঘুমাচ্ছেন। আর আমরা স্ট্যান্ডিং কমিটির সবাই আপনার দিনাজপুরের সমস্যা নিয়ে আলাপ করছি। বলুন তো আপনার পৌরসভার ড্রেনগুলো এখনো পাকা হল না কেন? মশা মাছির উপদ্রব কমল না কেন? চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, তরি-তরকারীর দাম বাড়ল কেন? তিনি বলছেন এবং মৃদু হাসছেন। বুঝলাম মহসিন সাহেব এতগুলো প্রশ্ন একসাথে শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছেন। আমি তখন বললাম, স্যার একট উৎসাহ দেন, নইলে তো এতগুলো প্রশ্নের উত্তর একসাথে দিতে পারবে না। প্রেসিডেন্ট সাহেব তখন উৎসাহ দিয়ে বললেন, আপনার সব কাজ সব সময় ভাল করতে দেখি। এখন তো এমন হওয়ার কথা না। কথাগুলো সব ঠিক বলে মনে হয় না। মহসিন সাহেব মনে জোর পেলেন। বললেন, স্যার চাল, ডাল, তেল, লবণ, তরি-তরকারির দাম ঠিকই আছে। একটুও বাড়েনি। তবে আমার পৌরসভার ড্রেনগুলোর কাজ শতকরা ৭০ ভাগ হয়ে গেছে। বাকী কাজ শেষ হলে ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা শেষ হলে মশা মাছিও কমবে।

প্রেসিডেন্ট সাহেব আমাদের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসছেন আর মহসিন সাহেবকে বলছেন, 'যাক মোটামুটি তাহলে সব ঠিক আছে। বাকী কাজ করে ফেলুন। পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন ও মাছ গোস্তের দাম আগামীকাল টেলিফোন করে জানাবেন। সব নেতাকর্মীদের আমার সালাম দেবেন। মহসিন চেয়ারম্যান খুশিতে আত্মহারা। প্রেসিডেন্ট সাহেব তাকে রাত দুইটায় টেলিফোন করেছেন। সকালে উঠে তিনি সব নেতা-কর্মীদের মিটিং ডাকলেন এবং সবাইকে জানালেন যে, প্রেসিডেন্ট সাহেব নিজে টেলিফোন করে সব জানতে চেয়েছেন। আরো বললেন যে, প্রেসিডেন্ট সাহেব সব নেতা-কর্মীদের সালাম দিয়েছেন। কন্ট্রাক্টরকে ডেকে বললেন, ড্রেনের বাকী কাজ শীঘ্রই শেষ করতে হবে। মশা মাছির ঔষধ প্রতিদিন যাতে দেয়া হয় এবং কোন এলাকা যেন বাদ না যায় সে খেয়ালও রাখতে বললেন কন্ট্রাক্টরদের কারণ মশা মাছির উপদ্রব যে বেড়েছে সে খবরও প্রেসিডেন্ট সাহেবের কাছে গিয়েছে। নেতা-কর্মীদের বললেন, চল বাজারে গিয়ে দেখি পেঁয়াজ, রসুন, মাছ-গোস্তের দাম কত। কারণ উনাকে সন্ধ্যার পর টেলিফোন করে জানাতে হবে।

প্রেসিডেন্ট সাহেবের একটা টেলিফোনে পার্টির নেতা-কর্মীদের কাজের উৎসাহ, উদ্যম ও আনন্দ অনেকগুণে বেড়ে গেল, কমপক্ষে এক বছরের জন্য।

১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জনাব মশিউর রহমান যাদু মিয়া তার নেতৃত্বাধীন ন্যাপ ভাসানী বিলুপ্ত করে দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। এ সময়ে সংবিধানে কিছু পরিবর্তন সাধন করা হয়। প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব পার্টি যেন অংশগ্রহণ করে সে জন্য আওয়ামী লীগ, মুসলিম লীগ, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ, ইউপিপি, জাতীয় লীগ, মস্কোপন্থী ন্যাপ, জাসদসহ সকল দলের নেতৃবৃন্দকে প্রেসিডেন্ট জিয়া অনুরোধ জানালেন। উনার একান্ত ইচ্ছা ছিল পার্লামেন্ট প্রাণবন্ত থাকবে। বিএনপি ধানের শীষ, আওয়ামী লীগ নৌকা, মস্কোপন্থী ন্যাপ কুঁড়েঘর, জাসদ মশাল, এবং ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি, ইউপিপি, মুসলিম লীগ ও অন্যান্য দল তাদের স্ব স্ব প্রতীক নিয়ে ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত ২য় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসন পেল প্রায় ২০০টি। আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৩৬টি, মুসলিম লীগ ২৫টি, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ ১৬টি আসন। খ্যাতনামা রাজনীতিবিদদের মধ্যে জাতীয় লীগ থেকে নির্বাচিত হলেন পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জনাব আতাউর রহমান খান এবং একই দলের খ্যাতনামা অ্যাডভোকেট ও পার্লামেন্টারিয়ান প্রফেসর মফিজুল ইসলাম। বামপন্থী দলগুলো থেকে নির্বাচিত হলেন সাম্যবাদী দলের কমরেড তোয়াহা, মস্কোপন্থী ন্যাপ-এর নেতা প্রফেসর মোজাফ্ফর আহমেদ। জাসদ থেকে নির্বাচিত হন শাহজাহান সিরাজ ও লতিফ মির্জা এবং ইউপিপি থেকে নির্বাচিত হন রাশেদ খান মেনন। বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান। মুসলিম লীগের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন জনাব এম এ সবুর খান যিনি ৭ বছর পাকিস্তান জাতীয় সংসদের লিডার অব দ্য হাউস ছিলেন। ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগের সংসদীয় দলের নেতা হলেন মৌলানা আব্দুর রহিম। পার্লামেন্ট জমজমাট হয়ে উঠল। স্পিকার হলেন অ্যাডভোকেট মির্জা গোলাম হাফিজ ও ডেপুটি স্পিকার হলেন ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরী।

এভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফলভাবে অনুষ্ঠান করে প্রেসিডেন্ট জিয়া বাকশালের অধীনে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করলেন।

লেখক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার।

এএইচএস/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বিএনপি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর