সংসদ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৩
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ আবারও এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জনমনে একদিকে যেমন দীর্ঘ বছরের অবিশ্বাস কাটিয়ে একটি সৎ, স্বচ্ছ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে অতীত তিন নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা জনমনে এখনো বিরাজ করছে। বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ, নিরপেক্ষ, ভোট নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে পূর্বে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালের নির্বাচন রাতের ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন জয়, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব, ভোটারবিহীন নির্বাচন, সহিংসতা সহ সব মিলিয়ে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, দেশে এখন মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৪০ হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার নিবন্ধন করেছেন। শনিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এ তথ্য জানা যায়। তথ্যানুযায়ী, তিন লাখ ৪০ হাজার ৬৪৩ জন নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে তিন লাখ ১৬ হাজার ৩৩৯ জন পুরুষ ও ২৪ হাজার ৩০৪ জন নারী রয়েছেন।
এত বৃহৎ ভোটার জনগোষ্ঠীর গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষায় প্রশাসনের স্বচ্ছতা, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্বাধীনতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর ক্ষমতা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নির্বাচন কমিশনও ইতোমধ্যে বিস্তৃত প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রভিত্তিক সিসিটিভি, ফলাফল তাৎক্ষণিক ডিজিটাল স¤প্রচার, প্রবাসী ভোটাধিকার বাস্তবায়নের জন্য নিরাপদ বায়োমেট্রিক যাচাই, মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক ফলাফল মনিটরিং সেল এবং সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর মোতায়েন পরিকল্পনা। নির্বাচন সুনামের সঙ্গে ও সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সকল কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবশ্যই ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিতে হবে।
বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন কোনো নতুন বিষয় নয়।
১৯৯০ সালে এ দেশের ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলো একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১০ বছর ধরে ক্ষমতার মসনদে বসে থাকা স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদ তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে সমর্থ হয়েছিলেন, যা ওই সময় অনেকের কাছেই একটি অসম্ভব বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরও আমরা একই ধরনের একটি সময় অতিক্রম করছি। কিন্তু ৯১-এর নির্বাচন যেভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছিল, ঠিক একই ধরনের গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ আগামী নির্বাচনটি হবে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায়। ৯১-এর নির্বাচনে তিন জোটের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে যে ঐক্য ছিল, তা এবার অনুপস্থিত। সে সময় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘাত যেমন ছিল না, তেমনি নিজেদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলে নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাও বিরল ছিল। অপরদিকে বর্তমানে প্রশাসন, পুলিশসহ সরকারি সব দপ্তরকে দলীয়করণের যে অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে, তা যে ছাব্বিশের নির্বাচনের জন্য একপ্রকার বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে এটি একেবারেই দৃশ্যমান যে এবারের নির্বাচন ৯১-এর নির্বাচনের মতো সরল সমীকরণে নয়; নানাবিধ জটিল হিসাব-নিকাশ করেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক নতুন বন্দোবস্ত তৈরি করার ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন আদৌ সফল হবে কি না-সে নিয়ে এখনো সন্দেহের মেঘ কাটেনি; বরং দিন দিন নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে।
বর্তমানে যে প্রশাসনিক কাঠামো কার্যকর রয়েছে, সেটি মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই গঠিত ও প্রভাবিত। পুলিশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজমান। সুতরাং যে পুলিশ ও প্রশাসনের অতীত ইতিহাস সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে ইতিবাচক নয় এবং যাদের দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ-সেই কাঠামোর ওপর ভর করে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কা থেকে যায়। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, প্রশাসন কিংবা পুলিশের মধ্যে যারা অতীতে নির্বাচনে কারচুপি ও অসদুপায় অবলম্বন করে নির্দিষ্ট প্রার্থী বা দলের জন্য কাজ করেছেন, তাদের কাউকেই বিগত এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। ফলে অসৎ সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে এবারের জাতীয় নির্বাচন যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়-সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দীর্ঘদিন ধরেই একটি দুর্বল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এর অন্যতম কারণ হলো, যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তারা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ থেকে শুরু করে কমিশনের প্রায় সব স্তরে নিজেদের অনুগত ব্যক্তিদের বসানোর চেষ্টা করে। ফলে কমিশনের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ থাকে।
এবারের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ এনসিপির কয়েকজন নেতার পক্ষ থেকে একাধিকবার শোনা গেছে। পাশাপাশি দেশের নির্বাচনব্যবস্থা, নির্বাচনী সহিংসতা এবং পারিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যে শক্তিশালী জনবল, লজিস্টিক সহায়তা, আইনগত ক্ষমতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি প্রয়োজন-নির্বাচন কমিশনের মধ্যে তার কোনোটিই যথাযথভাবে বিদ্যমান নয়। আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা মতামত প্রদানের ক্ষেত্রেও প্রায়ই দ্বিধান্বিত অবস্থায় দেখা যায়।
অতীতে দেখা গেছে, নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত অনেক প্রার্থী পরবর্তী সময়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়নি। তদ্রুপ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সম্পত্তি বা অন্যান্য তথ্যসংক্রান্ত নথিতে মিথ্যা বা জাল তথ্য উপস্থাপন করলেও কমিশনের তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা দেখা যায় না। এসব কারণে বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন একটি দুর্বল ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ফলে আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করা নিতান্তই আবশ্যকীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যদি খেয়াল করি, দেখা যাবে যে বর্তমানে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলো কোনো না কোনোভাবে একে অপরের বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের তৎপরতা আগামী নির্বাচনের জন্য অন্যতম বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
আওয়ামী লীগ তাদের পতনের পরপরই নির্বাচনের দাবি করলেও বর্তমানে তারা নির্বাচনকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না; কারণ, এবারের নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। তাতে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ ছাড়া নিবন্ধিত ৫৫টি দল অংশগ্রহণ করতে পারবে। আওয়ামী লীগের ধারণা অনুযায়ী, যদি তারা এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে এবং নির্বাচনটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে আবার রাজনীতির মূল মঞ্চে ফেরা তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তাই তারা তাদের সব শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনের প্রতিটি প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করতে পারে।এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা সম্ভাব্য কয়েকটি কৌশল গ্রহণ করতে পারে,যেমন: তারা নির্বাচনের আগেই দেশে সহিংসতা সৃষ্টি করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারে।
যদি তারা সরাসরি নির্বাচন ভঙ্গ করতে সক্ষম না হয়, তবে তাদের ভোটব্যাংককে নির্বাচন বর্জন ও ভোট না দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করা- যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ কমে যায়। ভোটের আগে ও ভোটের দিন জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, যাতে ভোটাররা কোনোভাবেই ভোট দিতে যেতে না পারেন। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ যত কম হবে, ভোটের হারও ততই কমবে; পরিণতিতে যখন দেখা যাবে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভোটে অংশগ্রহণ করেনি, তখন আওয়ামী লীগ দাবি করতে পারে যে ওই অনুপস্থিত অংশ তাদের সমর্থক এবং তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভোট বর্জন করেছে-আর এটিকেই প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরতে চেষ্টা করবে যে নির্বাচন একতরফা হয়েছে।
আমাদের উত্তরণের উপায় খোঁজার আগে আগামী নির্বাচনের তাৎপর্য খুব ভালো করে বোঝা দরকার। কেননা একটি যেনতেন নির্বাচন যদি অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে সেটা দেশকে দীর্ঘকালীন একটি সংকটের মধ্যে ফেলে দেবে-যে সংকটের একদিকে থাকবে রাজনৈতিক অনাস্থা, অপরদিকে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার বাস্তবায়ন এবং জুলাইয়ের দাবিগুলো। উদাহরণ হিসেবে যদি ধরে নেওয়া হয় আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে যাচ্ছে-কিন্তু যদি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হয় কিংবা নির্বাচন নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি না হয় এবং সরকারকে বিরোধী দলগুলো আন্দোলন করে অতিষ্ঠ করে তোলে, তবে বিএনপির জন্য সরকার পরিচালনা করা দুর্বিষহ বিষয় হয়ে উঠবে; দেশও নানাবিধ সংকটের মুখে পড়তে পারে। সমাধানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেখানে জোর দেওয়া প্রয়োজন, সেটা হলো রাজনৈতিক আস্থার ভিত্তিতে এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা, যেখানে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকবে এবং রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের প্রতি আস্থাশীল হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচন কেবল প্রযুক্তি বা নিরাপত্তার সমন্বয় নয়; এর মূল ভিত্তি হলো সমান প্রতিদ্ব›িদ্বতা, গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ কাভারেজ এবং ভয়মুক্ত প্রচারণার পরিবেশ। গবেষণা সংস্থা বিআইজিডির গবেষণায় দেখা যায়, ৭৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন বহুদলীয় প্রতিযোগিতা ছাড়া নির্বাচন অর্থবহ হয় না। জনগণের সরল প্রশ্নও তাই, যদি মানুষ আগেই জেনে যায় কে জিতবে, তাহলে ভোট দিতে যাবে কেন? ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীন বিজয়ের ঘটনার কারণে নির্বাচনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। ফলে ২০২৬ সালের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, বিরোধী দলের সমান প্রচারণার সুযোগ নিশ্চিত করা, মিছিল-সমাবেশকে সহিংসতামুক্ত রাখা এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার ও গণমাধ্যমে সেন্সরশিপ কমানোর উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও, সাংবাদিক ইউনিয়নের জরিপে দেখা যায়, ৫৮ শতাংশ সাংবাদিক মনে করেন নির্বাচনের সময়ও গণমাধ্যমের ওপর চাপ থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশনের উচিত, গণমাধ্যমে সমান কাভারেজ নিশ্চিত করতে স্বাধীন মনিটরিং সেল গঠন করা।
লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক
বিকেপি/এমবি

