Logo

অন্যান্য

ঠোঁট ও তালুকাটা শিশুদের ফ্রি চিকিৎসায় মেডিকেল মিশন

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ২০:২৬

ঠোঁট ও তালুকাটা শিশুদের ফ্রি চিকিৎসায়  মেডিকেল মিশন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ঠোঁট কাটা ও তালুকাটার মতো জন্মত্রুটিযুক্ত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান এবং অস্ত্রোপচার করার জন্য ঢাকায় ছয় দিনের চিকিৎসা মিশন শুরু হয়েছে। এসব শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে সহায়তা করা এই মিশনের লক্ষ্য।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে রাজধানীর ফুলবাড়ীর সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল মিশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই মিশন পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা স্মাইল এশিয়া, যারা মূলত মুখের নানা ধরনের বিকৃতির চিকিৎসা নিয়ে কাজ করে। স্মাইল এশিয়ার ৩৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এখানে চিকিৎসা প্রদান করছেন। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ১২টি দেশের ৩২ জন চিকিৎসক, নার্স, থেরাপিস্ট ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা।

মাঠ পর্যায় থেকে বাছাই করা ১১৫ জন শিশুর মধ্য থেকে প্রথম দিন শারীরিক ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জনের মতো শিশু নির্বাচন করা হয়। আগামী পাঁচ দিনে তাদের অস্ত্রোপচার করা হবে। কাটা ঠোঁটের জন্য যে-সব শিশুর অস্ত্রোপচার করা হবে তাদের বয়স ৩ মাস থেকে ১০ বছর এবং কাটা তালুর শিশুদের বয়স নয় মাস থেকে ১০ বছর। 

এ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো ঠোঁট ও তালু কাটা শিশুদের অস্ত্রোপচার এবং পরে চিকিৎসা প্রদান করা; তাদের কথা বলতে, শ্বাস নিতে এবং স্বাভাবিকভাবে খাবার গ্রহণে সহায়তা করা; তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা, সামাজিক বৈষম্য কমানো এবং বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বিশ্বে ঠোঁট ও তালু কাটায় আক্রান্ত হয় প্রতি ৭০০ শিশুর মধ্যে একজন। আর বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫ হাজারেরও বেশি শিশু এই বিকৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদা ফিজ্জা কবির এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্মাইল এশিয়ার মহাসচিব অভিমন্যু তালুকদার এবং সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মহাপরিচালক মো. আ. রাজ্জাক সরকার।

ডা. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাত এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা রোগীদের আরও উন্নত সেবা প্রদানে সহায়ক হবে। বর্তমান সরকারকে একটি কল্যাণমূলক সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী দিনগুলোতে বেসরকারি খাতের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

মো. সাইদুর রহমান বলেন, জনগণকে আরও ভালো সেবা দেওয়ার জন্য সরকার-এনজিও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল দেশের সেরা হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি হবে।

স্মাইল এশিয়ার মহাসচিব অভিমন্যু তালুকদার তার বক্তব্যে এশিয়া জুড়ে তার সংস্থার দেওয়া সেবার উপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশে স্মাইল এশিয়ার সপ্তম মিশন এবং সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে প্রথম।

সাজেদা ফাউন্ডেশনের সিইও জাহিদা ফিজ্জা কবির বলেন, তার সংস্থা বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে স্মাইল এশিয়ার সঙ্গে তাদের সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।

সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মহাপরিচালক মো. আ. রাজ্জাক সরকার বলেন, এবারের মিশন তার হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্য চিকিৎসা পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির একটি দুর্দান্ত সুযোগ। 

উদ্বোধনের পর অতিথিরা ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের  দেখেন এবং সেবা বুথ পরিদর্শন করেন। পরে মেডিকেল টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। 

এমএম

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর