
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর বর্তমান নির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। তারা জানিয়েছেন, আটাবের কমিটি বাতিলের গুঞ্জন ভিত্তিহীন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চলমান শুনানিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু অনলাইন পোর্টালে আটাব সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ ও মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ’র বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তা ষড়যন্ত্রমূলক ও বিভ্রান্তিকর।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগে আটাব নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় পক্ষ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে। শুনানি শেষে বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ রেহান উদ্দিন বলেন, ‘উভয় পক্ষের বক্তব্য আমরা শুনেছি। পর্যালোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’ এ নিয়ে এখনো কোনো প্রশাসক নিয়োগ বা কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
আটাবের বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর একটি বিশেষ মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিচয়ের দোহাই দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ আটাব একটি পেশাদার বাণিজ্য সংগঠন, যার দায়িত্ব শুধুই ট্রাভেল এজেন্টদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এছাড়া, আটাব অনলাইন লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। টিকিটের বিল চেকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে— এটিকে আত্মসাৎ বলে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সকল তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া আছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ট্রাভেল শিল্পের স্থিতিশীলতা ও আটাবের সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে। বর্তমান কমিটি নিয়মমাফিক নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনটি প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীরা পরাজয় মানতে না পেরে এখন প্রশাসক নিয়োগের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
যারা বিদেশগামী যাত্রীদের টিকিটমূল্য অতিরিক্ত বৃদ্ধি করে সিন্ডিকেট করেন, তারাই এ ধরনের অপপ্রচারের আশ্রয় নিচ্ছেন বলে দাবি করে, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত গুজব বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে আটাব।