Logo

রাজনীতি

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে সুযোগ তৈরির অপচেষ্টা

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:২৫

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে সুযোগ তৈরির অপচেষ্টা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের জঞ্জাল দূর করতে জাতি একটি সামগ্রিক সংস্কার প্রত্যাশা করছে। যে সংস্কার হবে দেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস, ইতিহাস, ঐতিহ্য সমর্থিত এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জনআকাঙ্ক্ষার অনুকূলে। সংস্কার নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে যে সব কমিশন করেছে তাদের প্রস্তাব মানুষের প্রত্যাশার সাথে অনেকটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু নারী বিষয়ক কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করেছে। এই প্রস্তাব জনরোষ উস্কে দেবে, যা আদতে পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ তৈরি করে দেবে। তাই অবিলম্বে নারী বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব সরকারিভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং কমিশন বাতিল করতে হবে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন গণআকাঙ্খা ধারণ করে রাষ্ট্রের মূলনীতি থেকে সেক্যুলারিজমকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। অথচ নারী বিষয়ক কমিশন আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে যে, রাষ্ট্র হবে ‘ইহজাগতিক’। তাদের প্রস্তাবনা দেখলে মনে হয়, তারা দেশের মানুষকে বোকা মনে করে। সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরেপেক্ষতা শব্দের বদলে তারা ‘ইহজাগতিক’ শব্দ ব্যবহার করে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং তা প্রকাশে সূক্ষ্ম প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বহু বছর ধরে পারিবারিক আইন ধর্মভিত্তিক। শুধু বাংলাদেশ নয়; বরং ভারতসহ অধিকাংশ দেশেই পারিবারিক আইনের ভিত্তি ধর্ম। কারণ, সকল দেশ ও সভ্যতায় ধর্ম মেনেই পরিবার গঠিত হয়। এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগও নেই। কিন্তু এই কমিশন পারিবারিক আইনের ভিত্তি বদলে দেওয়ার প্রস্তাব করে জনরোষ উস্কে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। এই ধরনের অপচেষ্টা আমরা সাম্প্রতিক বিজেপির ভারতে দেখতে পাই। আমরা আশংকা করছি নারী কমিশনের সদস্যগণ ভারত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপ্লবোত্তর সরকারকে বিতর্কিত করতে এবং তাদের সাথে থাকা গণসমর্থনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এ ধরনের প্রস্তাব দিয়ে থাকতে পারে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত কিন্তু পারিবারিক আইন থেকে ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থাপনাকে বাদ দেওয়া বরদাস্ত করবে না। যদি সরকার নারী কমিশনের প্রস্তাব গ্রহণ করে তাহলে দুঃখের সাথে বলতে হবে, আমাদের স্বপ্ন আবারো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের মানুষের কাছে ধর্ম এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অন্তবর্তী সরকার সমর্থনহীন হয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারে। তাই সরকারকে পরামর্শ দেব, নারী বিষয়ক কমিশন বাতিল করুন। দেশের নারীদের যথার্থ প্রতিনিধিত্ব করে এমন নারীদের সমন্বয়ে নতুন কমিশন গঠন করুন।

ডিআর/বিএইচ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর