বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথকে আরো সুগম করবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই ফ্যাসিবাদ বিদায় নেওয়ার পর তিনি কারাবন্দি জীবন থেকে মুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে আজ তিনি দেশে ফিরে আসছেন—এটা শুধু আমাদের নয়, পুরো জাতির জন্য আনন্দের দিন।’

তিনি বলেন, ‘এই সময়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সহজ করবে এবং বাংলাদেশকে সঠিক, ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যহীন পথে পরিচালিত করতে সহায়ক হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি তার ছেলে তারেক রহমানের বাসভবনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন।

এর আগে, সোমবার লন্ডনের গ্রিনিচ সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির প্রদত্ত বিশেষ রাজকীয় বিমান (আধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া। যাত্রাপথে দোহা বিমানবন্দরে বিরতি শেষে আজ বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি।

এ সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন তার দুই পুত্রবধূ—ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।