বিএনপি চলে আওয়ামী লীগের টাকায় : হাসনাত আবদুল্লাহ

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ২৩:১৭
-68277347d975a.jpg)
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের টাকায় চলছে। তিনি বলেছেন, এখন সময় এসেছে—এই রাজনৈতিক কারচুপি ও প্রভাবের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ অর্থ কাঠামো ভেঙে দিতে হবে এবং তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
শুক্রবার (১৬ মে) কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত 'জুলাই ২৪ বিপ্লব' স্মরণে আয়োজিত জুলাই সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানবিক করিডোর ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্পষ্ট অবস্থান দাবি করে হাসনাত বলেন, ‘বাংলাদেশকে কোনো পরাশক্তির কাছে বন্ধক রাখা যাবে না। আমরা কোনো ধোঁয়াশা দেখতে চাই না।’
তিনি বলেন, জানুয়ারিতে ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি। মে মাস প্রায় শেষ—তবু কোনো অগ্রগতি নেই। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের কাছে প্রশ্ন—কেন এখনো ট্রাইব্যুনাল-২ গঠিত হয়নি? হত্যাকাণ্ডের মতো স্পর্শকাতর মামলায় জামিনের ঘটনা আমাদের বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা নষ্ট করছে।
নির্বাচনের আগেই বিচার এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, খুনিদের বিচার নিশ্চিত করেই নির্বাচন হতে হবে। বিচার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন। আওয়ামী লীগ অতীতে নির্বাচনের মাঠ দখল করে রেখেছে, সেখানে অন্য কেউ খেলতে পারে না। সেই মাঠ আগে সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন কমিশনেরও বড় ধরনের সংস্কার দরকার।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে পেপার স্বশরীরে জমা দেওয়ার প্রস্তাব নাকচ হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হাসনাত। তিনি বলেন, ‘এতে সমস্যা কী? কমিশন কেন এমন স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চায় না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।’
১৪ দল নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ‘আমরা রাস্তায় না নামলে কেন কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না?’—প্রশ্ন রাখেন হাসনাত।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, শহীদ সাদমানের মা কাজী শারমিন, শহীদ ইমাম হাসানের ভাই রবিউল আউয়াল, শহীদ রবিনের মা পারভীন আক্তার, ড. ফয়জুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগর সভাপতি এমএম বিল্লাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৩৮ জন শহীদের পরিবার এবং ৩০ জন আহত ব্যক্তির পরিবারকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।