Logo

রাজনীতি

কেন গেলেন ধানমন্ডি থানায়? হান্নান মাসউদকে এনসিপির নোটিশ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ০৮:৪০

কেন গেলেন ধানমন্ডি থানায়? হান্নান মাসউদকে এনসিপির নোটিশ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে দলটি। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় গিয়ে আটক তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনার ঘটনায় তার কাছে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

বুধবার (২১ মে) সকালে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত নোটিশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, গত মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানার আওতাধীন একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বি আগে থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে ‘নৈতিকতা লঙ্ঘনের’ অভিযোগে অব্যাহত ছিলেন।

এসব তথ্য জেনেও আব্দুল হান্নান মাসউদ থানায় গিয়ে তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন, যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— তা লিখিত আকারে দলের শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনাটি ঘিরে দলের অভ্যন্তরে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

জানা গেছে, সোমবার (১৯ মে) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি এলাকায় আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে যান তিন তরুণ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তারা।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ধানমন্ডি থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে এক তরুণ বলেন, ‘আপনি ওসি, আপনি গ্রেপ্তার করলেন না কেন? আমি বলছি, আপনি গ্রেপ্তার করেন!’

পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন (মঙ্গলবার) বিকেলে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে এনসিপির একাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দায়িত্বশীল পদে থাকা কারও এ ধরনের পদক্ষেপ দলীয় অবস্থানকে দুর্বল করে। শৃঙ্খলা রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর