-683692c9425ef.jpg)
মুক্তি পেয়েই শাহবাগে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন আজহারুল ইসলাম | ছবি : বাংলাদেশের খবর
যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়ার পরদিনই মুক্তি পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। ১৩ বছর পর কারামুক্ত হলেন তিনি।
বুধবার ( ২৮ মে) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিয়াক ব্লক থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার একেএএম মাসুম।
২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন আজহারুল ইসলাম। তারপর থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। মুক্তির সময় তিনি কারা তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জানা গেছে, বিচারাধীন ১০টি মামলা প্রত্যাহারের সরকারি আদেশ এবং যুদ্ধাপরাধের মামলায় খালাসের রায় কারাগারে পৌঁছানোর পর যাচাই-বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ‘জুলাই অভ্যুত্থানে’ সরকারের পরিবর্তনের পর আজহারকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরে অসুস্থতা দেখা দিলে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। ২০১৯ সালে সেই রায় আপিলে বহাল থাকে।
তবে, সম্প্রতি নতুন সরকারের আমলে রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার তাকে বেকসুর খালাস দেয়। এরপরই খালাসের আদেশ কারাগারে পৌঁছায় এবং বুধবার সকালে তার মুক্তি কার্যকর হয়।
মুক্তির সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তারা ফুল দিয়ে আজহারকে বরণ করেন। পরে একটি গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দলের এক সংবর্ধনায়।
এদিকে আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। তারা রায় বাতিলের দাবি জানান।
এর আগে যুদ্ধাপরাধ মামলায় রিভিউ আবেদনের পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালাস পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
- ডিআর/এটিআর